বর্তমান বাংলাদেশের ডিজিটাল বিপ্লবের আরেকটি অধ্যায় ই-পাসপোর্ট (e-passport)। কিভাবে মাত্র ৫ মিনিটে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন এবং ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে পারবেন, সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট (e-passport) সুবিধা চালু করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই ই পাসপোর্ট (e-passport) এর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এখন আপনি নিজেই ঘরে বসে আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে দালাল ছাড়া অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। নিচে আমরা পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলি প্রতিটি ধাপ অনুসারে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবো। আশা করি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে আপনার পাসপোর্ট সংক্রান্ত যে তথ্যটি জানা প্রয়োজন সে তথ্যটি এখান থেকে জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট এর প্রকারভেদ এবং কোন পাসপোর্ট এর কি কি সুবিধা আছে।
বাংলাদেশ পাসপোর্ট এর প্রকারভেদ।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটালাইজেশনের যুগে বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশে তিন ধরনের পাসপোর্ট আছে।
১। হাতে লেখা পাসপোর্ট
২। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সংক্ষেপে এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport (machine readable passport)
৩। ই-পাসপোর্ট (e-passport) স্মার্ট পাসপোর্ট।
হাতেলেখা পাসপোর্ট কি?
পুরনো যুগের যেসব পাসপোর্ট হাতে লিখে সরবরাহ করা হতো এ সকল পাসপোর্ট কে হাতেলেখা পাসপোর্ট বলে। বিশ্বের অনেক দেশে এখনো হাতে লেখা পাসপোর্টের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ ২০১৫ সালের পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। পুরোনো পাসপোর্ট ব্যবহার কারিদের কাছে হাতেলেখা পাসপোর্ট থাকলেও। বাংলাদেশ সরকার থেকে এখন হাতে লেখা পাসপোর্ট সরবরাহ করা সম্পূর্ণ বন্ধ।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট কি? MRP e-passport
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport হলো এমন এক ধরনের পাসপোর্ট যা মেশিন বা যন্ত্র দ্বারা শনাক্ত করা যায়। আগে যে সকল হাতে লেখা পাসপোর্ট ছিল তার বদলে এমআরপি পাসপোর্টে সকল তথ্যাবলী এমন নিখুঁত ভাবে থাকে যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট মেশিন দ্বারা শনাক্ত করতে পারবে। এ জন্যই এই পাসপোর্ট কে বলা হয় “মেশিন-রিডেবল পাসপোর্ট। ২০১০ সন থেকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য“মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport প্রদান শুরু করেছে।
এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport এর পরিচিতি পাতায় ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী থাকে না, এর পরিবর্তে পরিচিতি পাতার একটি বিশেষ অংশে অনেকগুলো সংকেত থাকে যা দেখে একজন ব্যক্তির কিছুই বোঝা সম্ভব না। ঐ অংশটির মাঝেই পাসপোর্টধারী ব্যক্তির সকল তথ্যাবলী ‘কোডেড’ (Coded) বা লুকায়িত থাকে। নির্দিষ্ট যন্ত্রের সাহায্যে এসকল কোডেড যুক্ত তথ্যাবলী ইমিগ্রেশন অফিসাররা দেখে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে। এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport এর কারণে ভুয়া পাসপোর্টজনিত অপরাধ অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে।
এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport ধারীরা চাইলেই স্বাভাবিকভাবে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। যাদের এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport আছে তাদের এখনি ই-পাসপোর্ট নেওয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বর্তমানে যারা নতুন পাসপোর্ট নিচ্ছেন তাদেরকে এমআরপি পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয় না। অর্থাৎ ভবিষ্যতে হাতে লেখা পাসপোর্ট এর মত এমআরপি পাসপোর্ট ও বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ যদি ইতোমধ্যে শেষ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ই-পাসপোর্টে e-passport রিনিউ বা নবায়ন করে নিতে হবে।
ই-পাসপোর্টে কি? What is e-passport?
এমআরপি পাসপোর্ট MRP Passport এর আধুনিক রূপ হলো ই-পাসপোর্ট e-passport । বর্তমান বিশ্বে পাসপোর্টের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হলো ই-পাসপোর্ট e-passport। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার এ দেশের নাগরিকদের জন্য ই-পাসপোর্ট e-passport চালু করেছে। ই-পাসপোর্টকে e-passport কে বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট ও বলা হয়ে থাকে।
ই-পাসপোর্ট e-passport এর বিশেষত্ব হলো এই পাসপোর্ট এর মধ্যে সিম কার্ডের মতো একটি ছোট আকারের চিপ লাগানো থাকে। এই চিপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মাইক্রো প্রসেসর এবং এন্টেনা প্রযুক্তি! ই-পাসপোর্ট e-passport এর এই চিপটির ভেতর পাসপোর্ট ধারীকে শনাক্ত করার জন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবলী থাকবে।ই-পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, চোখের আইরিশের স্ক্যান ও ১০ আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ সহ ইত্যাদি। ই-পাসপোর্ট e-passport এ থাকছে ই-বর্ডার। ই-বার্ডার হলো ইলেক্ট্রনিক বর্ডার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর ভুলনামূলক তথ্য যাচাই করা যাবে। ই-পাসপোর্ট e-passport এর চিপের তথ্য যাচাই করার জন্য থাকবে “পাবলিক কি ইনফ্রাস্ট্রাকচার” সংক্ষেপে (PKI) প্রযুক্তি।
ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা benefits of e-passport
ই-পাসপোর্ট e-passport যেহেতু সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পাসপোর্ট তাই পুরনো পাসপোর্টের তুলনায় ই-পাসপোর্ট e-passport এর সুবিধাগুলোও অনেক বেশি। ই-পাসপোর্ট e-passport ব্যবহারকারীরা যেই সুবিধাটা সবচেয়ে বেশী ভোগ করবেন, সেটি হলো দ্রুত ইমিগ্রেশন পার হয়ে যাওয়া। হাতে লেখা পাসপোর্ট বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে ব্যাবহার করে ইমিগ্রেশন পার হতে যে সময় লাগবে, তার থেকে অনেক দ্রুত সময়ে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাবে। দীর্ঘ যাত্রার পর ইমিগ্রেশনের দেরি হওয়াটা অনেকের কাছেই হয়ে ওঠে অসহ্য। আর সে সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মেলেবে ই-পাসপোর্ট e-passport এর সাহায্যে। যেহেতু ই-পাসপোর্ট e-passport এর মাইক্রোচিপেই পাসপোর্টধারীর সকল তথ্য থাকে, তাই ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশেষ ই-গেটের সাহায্যে খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব। ই-গেটে পাসপোর্টটি রাখলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সকল তথ্য যাচাই হয়ে যাবে।(যেমন বর্তমানে বাংলাদেশের মেট্রোরেলের e-ticket এ যেভাবে ই-ঘেটে ব্যবহার করা হয়।
পাসপোর্টধারীর হাতের আঙুলের বায়োমেট্রিক স্ক্যান (আঙ্গুলের ছাপ) সম্পন্ন হলেই ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে। ফলে ই-পাসপোর্ট e-passport ব্যবহারকারী যাত্রীর অনেকটাই সময় বাঁচবে। তবে ই-পাসপোর্ট e-passport শুধু দ্রুতগতিতে ইমিগ্রেশন পার করাটাই কাজ নয়, বরং এই ই-পাসপোর্টের মূল লক্ষ্য হলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একজনের পাসপোর্ট আরেকজন ব্যবহার করে নানা জালিয়াতি করা হয়ে থাকে।ই-পাসপোর্ট e-passport এ যেহেতু সকল তথ্য মাইক্রো চিপে থাকবে তাই এসকল বেআইনী কাজ এড়ানো যাবে।
ই-পাসপোর্ট e-passport এ রয়েছে ৩৮ ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাসপোর্টধারীর সাথে পাসপোর্টের তথ্যাবলী না মিললে লাল বাতি জ্বলে উঠবে এবং ঐ পাসপোর্টধারীর বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ই-পাসপোর্ট e-passport এই পুরো প্রক্রিয়াটিই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগানাইজেশন সংক্ষেপে (ICAO) এর দ্বারা পরিচালিত হবে। এর ফলে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার হয় বিশ্বের এমন যেকোনো স্থান থেকে, স্থলবন্দর নৌবন্দর ও বিমানবন্দর হতেই পাসপোর্টের সমস্ত তথ্য মূল তথ্যকেন্দ্রের সাথে সহজেই মিলিয়ে দেখা যাবে।প্রয়োজনে পুলিশ থেকে শুরু করে ইন্টারপোলের মতো আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা গুলোও কোন অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।ই-পাসপোর্ট e-passport ব্যবহারের ফলে সন্ত্রাস দমনের মতো কঠিন কাজও বেশ খানিকটা সহজ হয়ে উঠবে।
ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
◾ পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি দুই কপি
◾ ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম এর প্রিন্ট কপি
◾ জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ
◾ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
◾ এপয়েন্টমেন্টের প্রিন্ট কপি
◾ আগের যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে তার ডাটা পেজের ফটোকপি
◾ পেশাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (যদিথাকে)
◾ নাগরিকত্ব সনদপত্র
ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী Instructions for filling e-passport form
১।ই-পাসপোর্ট e-passport আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না ৷
২। ই-পাসপোর্টের e-passport আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
৩। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
৪। ই-পাসপোর্ট e-passport ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
৫। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে।
◾ ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)
◾ ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)
◾ ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক। তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
৬। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
৮। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
৯। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের e-passport মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
১২। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
১৩। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১৪। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
১৫। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১৬। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১৭। ◾ দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
◾ দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
◾ দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
১৮। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
১৯। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২০।০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ও আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্লে ব্যাকগ্রউন্ড) ছবি দাখিল করতে হবে।
২১। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২২। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম E-Passport Application
ই-পাসপোর্ট আবেদন E-Passport Application করার জন্য পাঁচটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। যেহেতু ই-পাসপোর্ট e-passport সম্পূর্ণ অনলাইনে আবেদন করতে হবে সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে পরীক্ষা করে নিতে হবে আপনি যে জেলাতে বসবাস করছেন সে জেলা থেকে ই-পাসপোর্ট আবেদন E-Passport Application করা যাবে কিনা তারপর অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ, পাসপোর্ট ফি প্রদান, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান ও সর্বশেষ পাসপোর্ট সংগ্রহ করা। আমরা নিচের প্রতিটি ধাপ বিস্তারিত আলোচনা করছি।
প্রথম ধাপঃ নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
যে সকল পাসপোর্ট অফিস এবং জেলা পাসপোর্ট অফিসে বর্তমানে ই-পাসপোর্ট e-passport কার্যক্রম চালু আছে এ সকল পাসপোর্ট অফিস এবং জেলার তালিকা নিচে দেওয়া হল।
ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুকৃত অফিস সমূহের তালিকা List of e-passport office
১। আগারগাওঁ ২। যাত্রাবাড়ি ৩। উত্তরা ৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ৫। বাংলাদেশ সচিবালয় ৬। গাজীপুর ৭। মনছুরাবাদ
৮। ময়মনসিংহ জেলা ৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০। গাইবান্ধা জেলা ১১। গোপালগঞ্জ জেলা ১২। মানিকগঞ্জ জেলা
১৩। নরসিংদী জেলা ১৪।নোয়াখালী জেলা
১৫। ফেনী জেলা ১৬। চাঁদগাওঁ ১৭। কুমিল্লা জেলা ১৮। মুন্সিগঞ্জ জেলা ১৯। সিলেট জেলা ২০। মৌলভীবাজার জেলা ২১। সুনামগঞ্জ জেলা ২২। হবিগঞ্জ জেলা
২৩। যশোর জেলা ২৪। খুলনা জেলা ২৫। কুষ্টিয়া জেলা ২৬। বি-বাড়িয়া জেলা ২৭। রাজশাহী জেলা ২৮। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা ২৯। বগুড়া জেলা ৩০। রংপুর জেলা
৩১। দিনাজপুর জেলা ৩২। নওগাঁ জেলা ৩৩। জয়পুরহাট জেলা ৩৪। বরিশাল জেলা ৩৫। পটুয়াখালি জেলা ৩৬। পাবনা জেলা ৩৭। সিরাজগঞ্জ জেলা
৩৮। কিশোরগঞ্জ জেলা ৩৯। নাটোর জেলা ৪০। মাগুরা জেলা ৪১। নড়াইল জেলা ৪২। লক্ষ্মীপূর জেলা ৪৩। টাঙ্গাইল জেলা ৪৪। জামালপুর জেলা ৪৫। শেরপুর জেলা
৪৬। নেত্রকোনা জেলা ৪৭। মাদারীপুর জেলা ৪৮। ফরিদপুর জেলা ৪৯। রাজবাড়ি জেলা ৫০। ঝিনাইদহ জেলা ৫১। সাতক্ষীরা জেলা ৫২। বাগেরহাট জেলা
৫৩। ভোলা জেলা ৫৪। বরগুনা জেলা ৫৫। চুয়াডাঙ্গা জেলা ৫৬। ঝালকাঠি জেলা ৫৭। কুড়িগ্রাম জেলা ৫৮। লালমনিরহাট জেলা ৫৯। মেহেরপুর জেলা
৬০। নীলফামারী জেলা ৬১। পঞ্চগড় জেলা ৬২। পিরোজপুর জেলা ৬৩। শরিয়তপুর জেলা ৬৪। ঠাকুরগাঁও জেলা ৬৫। বান্দরবান জেলা ৬৬। চাঁদপুর জেলা
৬৭। কক্সবাজার জেলা ৬৮। খাগড়াছড়ি জেলা ৬৯। নারায়নগঞ্জ জেলা ৭০। রাঙামাটি জেলা
ইন্ডিয়ান ভিসা বা ভারতীয় ভিসা- মানুষ চিকিৎসা, পড়াশোনা এবং বিশ্বের বিভিন্ন নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ চিকিৎসা এবং ভ্রমণের জন্য ভারতে প্রবেশ করেন।কিভাবে ভারতীয় ভিসার আবেদন করতে হবে সে বিষয়ে আমরা কিছু সহজ পদ্ধতি নিচে আলোচনা করব।
দ্বিতীয় ধাপঃ অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম। E-passport application form
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম e-passport form পূরণ করার জন্য আপনাকে মোট ১৫ টি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। কিভাবে প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করে আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম e-passport form পূরণের কাজ সম্পন্ন করবেন, নিচে প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে ছবিসহ আলোচনা করছি।
১। ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ। e passport website
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ই-পাসপোর্ট অফিসের এই https://www.epassport.gov.bd/landing ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট e passport website এ প্রবেশ করার পরে আপনার সামনে নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস আসবে।
এখানে ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এর উপরে ডানদিকে English এবং বাংলা লেখা দুটি অপশন আছে। আপনি যদি ইংরেজিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে ইংরেজি লেখায় ওয়েবসাইটের সকল কার্যক্রম দেখতে পাবেন। যদি বাংলায় চান তাহলে বাংলা অপশনে ক্লিক করলেই ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এর সকল লেখা সবকিছু বাংলা দেখতে পাবেন।
২। অনলাইন আবেদন।
এরপর মেনুবার থেকে প্রথম মেনু Apply Online অনলাইনে আবেদন অপশনে ক্লিক করে ই-পাসপোর্ট আবেদন কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
অনলাইনে আবেদন অপশনে ক্লিক করার পরে যে পেজটি ওপেন হবে এখানে প্রথমেই আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে আপনি কি বাংলাদেশ থেকে ই-পাসপোর্ট আবেদন করছেন কিনা (Are you applying from Bangladesh?) যদি বাংলাদেশ থেকে ই-পাসপোর্ট আবেদন করে থাকেন তাহলে ইয়েস (YES) অপশন এ ক্লিক করতে হবে। নিচের ড্রপডাউন বক্সে জানতে চাওয়া হবে আপনার বর্তমান বসবাসরত জেলার নাম (Select District of your present address) এরপরের বক্সে আপনার বর্তমান থানার নাম জানতে চাওয়া হবে (Select the police station nearest to your present address) ড্রপবক্স থেকে বর্তমান থানা সিলেক্ট করে কন্টিনিউ Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।
কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করার পরেই নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে।
৩। ইমেইল এড্রেস প্রদান
এখানে প্রথম বক্সে আপনার একটি সচল ইমেইল এড্রেস দিতে হবে এবং নিচের ঘরে একটি ক্যাপচা, এটাতে ক্লিক করে সিলেক্ট করতে হবে। আপনি রোবট না আপনি মানুষ সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আবার কন্টিনিউ Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।
কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করার পরে নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে
৪। ই পাসপোর্ট একাউন্ট তৈরি
এখানে আপনার অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন দিতে হবে। এই পেইজের প্রথম বক্সে আপনার ই-মেইল এড্রেসটি অটোমেটিক চলে আসবে। দ্বিতীয় বক্সে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে যে পাসওয়ার্ড দিয়ে ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট লগইন করতে পারবেন।তৃতীয় বক্সে আপনি কিছু লিখতে পারবেন না। আপনার এনআইডি কার্ডের পুরো নামটি চতুর্থ এবং পঞ্চম বক্সে লেখার পরে তৃতীয় বক্সে অটোমেটিক আপনার পুরো নামটি চলে আসবে।তারপরে আপনার একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে এবং সর্বশেষ ক্যাপচা সিলেক্ট করে কন্টিনিউ Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৫। ইমেইল ভেরিফিকেশন।
কন্টিনিউ Continu অপশনে ক্লিক করার পড়ে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি দিয়েছেন সেই ইমেইলে
একটি মেইল চলে যাবে ভেরিফিকেশন করার জন্য।
এখন আপনার ই-মেইল এড্রেসের ভিতরে প্রবেশ করুন। ইনবক্সে ই-পাসপোর্ট অফিস থেকে পাঠানো একটি ইমেইল দেখতে পাবেন, মেইলটি ওপেন করে নিচের ছবির মত মেইলে ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে পাঠানো লিংকে ক্লিক করুন।
এই লিঙ্কে ক্লিক করার পরে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে আপনার অ্যাকাউন্ট ইমেইল ভেরিফিকেশন সাকসেসফুল হয়েছে বলে একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
৬। ই-পাসপোর্ট অ্যাকাউন্টে সাইন ইন Sign in.
এ পেজের নিচে সবুজ রং এর লেখা sign in সাইন ইন অপশন এ ক্লিক করে আপনার ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে sign in সাইন-ইন করুন।
৭। ই পাসপোর্ট আবেদন এবং পাসপোর্ট এর ধরন নির্বাচন।
সাইন-ইন সম্পন্ন হওয়ার পরে নিচের ছবির মত একটি পেজ ওপেন হবে। এখানে apply for new e-passport application এই অপশনে ক্লিক করুন।
apply for new e-passport application এই অপশনে ক্লিক করার পরে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। এখানে আপনাকে পাসপোর্ট এর ধরন Type নির্বাচন করতে হবে যদি। আপনার ব্যক্তিগত সাধারণ পাসপোর্ট হয় সে ক্ষেত্রে অডিনারি Ordinary Passport অপসন সিলেক্ট করুন। যদি আপনি সরকারি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে অফিসিয়াল পাসপোর্ট Official Passport অপশন সিলেক্ট করুন। আমরা অডিনারি অপশন সিলেক্ট করলাম।
Ordinary Passport অপসন সিলেক্ট করার পর নিচের সেভ এন্ড কন্টিনিউ Save and Continue এই অপশনে ক্লিক করুন।
৮। পাসপোর্ট আবেদন ফরম এ ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান।
এখন নতুন একটি পেজ ওপেন হবে এখানে আপনাকে পাসপোর্ট আবেদন ফরম এর জন্য আপনার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য দিতে হবে। পেজের উপরে ছোট্ট একটি বক্স I Apply for My Self এই বক্সে টিক মার্ক করে দিলে আপনার নাম অটোমেটিক চলে আসবে।
নাম ছাড়াও এখানে আপনাকে আপনার লিঙ্গ, ধর্ম, জাতীয়তা, জাতীয়তার ধরন ও মোবাইল নাম্বার সহ, সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে সেভ এন্ড কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৯। ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম এ স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রদান।
এবার যে পেজটি ওপেন হবে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম এ আপনার স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। এই পেজটি পূরণ করার সময় খুবই গুরুত্ব সহকারে পূরণ করতে হবে। কারণ আপনার দেয়া স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে। তাই পুলিশ ভেরিফিকেশন যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় সেই বিষয় বিবেচনা করে আপনার সঠিক স্থায়ী অস্থায়ী ঠিকানা দিবেন। আপনার স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে Present Address same as Permanent নিচের ছবিতে লাল বক্স করা এই অপশনে ক্লিক করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় একই ঠিকানা বসে যাবে।
স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করার পরে সেভ এন্ড কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করুন।
১০। আগের পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র এর তথ্য প্রদান।
এই পেজে আপনার আগের কোন পাসপোর্ট ছিল কিনা এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
যদি আপনার আগে কোন এম আর পি MRP Passport বা ই-পাসপোর্ট e-Passport থাকে, তা হলে সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। যদি নতুন পাসপোর্ট আবেদন হয় তা হলে “No, I don’t have any previous passport” এটি সিলেক্ট করতে হবে। যাদের হাতের লিখা পাসপোর্ট ছিলো তারাও এটি নির্বাচন করবেন।পাসপোর্ট সিলেকশন শেষ হওয়ার পরে নিচের ঘর আইডেন্টিফিকেশন ইনফর্মেশন দিতে হবে। ১৮ বছরের কম হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ নাম্বার। ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ নাম্বার। ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক। তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
পাসপোর্ট সিলেকশন এবং আইডেন্টিফিকেশন ইনফরমেশন দেওয়া শেষ হলে এবার save and continue অপশন ক্লিক করুন।
১১। ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম এ পিতা-মাতার তথ্য প্রদান।
এই পেজে আপনাকে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম এ আপনার পিতা মাতার তথ্য প্রদান করতে বলা হবে। Parental information স্থলে পিতা-মাতার নাম, তাদের পেশা, তাদের জাতীয়তা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিয়ে এই ফরমটি পূরণ এর কাজ শেষ করতে হবে।
এ পেজে পিতামাতার যে তথ্য দিতে হবে তা নিচে একটি নমুনা দেওয়া হলো।
◾ পিতার নাম (same as NID card)
◾ পেশা
◾ পিতার জাতীয়তা
◾ পিতার NID কার্ড নম্বর
◾ মাতার নাম (same as NID card)
◾ পেশা
◾ মাতার জাতীয়তা
◾ মাতার NID কার্ড নম্বর
পিতা-মাতার তথ্য সম্পন্ন হওয়ার পর এবার নিজের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।
১২। ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থা।
এখানে আবেদনকারী বিবাহিত না অবিবাহিত এই তথ্য জানাতে চাওয়া হবে। Marital Status এই অপশনে একটি ড্রপ-ডাউন অপশন পাবেন। ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে আপনার জন্য যেটি প্রযোজ্য সিনি নির্বাচন করুন। বৈবাহিক আবস্থা (Marital Status) ঘরে SINGLE, MARRIED, DIVORCED, WIDOWER or WIDOW এই অপশন গুলো থাকবে। এখান থেকে আপনার অবস্থা অনুসারে একটি অপশন নির্বাচন করুন।
১৩। জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের তথ্য প্রদান।
এবার জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য আরো একজনের তথ্য দিতে হবে। সেটা হতে হবে পরিবারের সদস্য, যেমন – বাবা, মা কিংবা ভাইয়ের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য যার তথ্য দিবেন তার ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্রে যে ভাবে আছে সে ভাবে দেয়া ভালো। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর ক্ষেত্রে Emergency contact (জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ) নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়। এছাড়াও কোন কারণে যদি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে বার্থ হয়, তাহলে এই ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার ব্যাবহার করা হবে।
এই পেজ এর কাজ শেষ হলে এবার পরবর্তী পেজে যান। নতুন যে পেজটি আসবে এখানে আপনাকে পাসপোর্ট এর ধরন নির্বাচন করতে হবে।
১৪। পাসপোর্ট পেজ এর সংখ্যা নির্বাচন।
Passport Option বা পাসপোর্টের ধরনে আপনি আপনার পাসপোর্টের পৃষ্ঠা Passport page ও মেয়াদ বাছাই করতে পারেন। আপনার বিদেশ ভ্রমণ এর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ৪৮ পৃষ্ঠা কিংবা ৬৪ পৃষ্ঠার যে কোন একটি বাছাই করুন। আপনি যদি মনে করেন আপবার খুব বেশি ট্রাভেল করার দরকার হবে থাহলে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে পারেন। অন্যথায় ৪৮ পৃষ্ঠাই যথেষ্ট। পাসপোর্টের পৃষ্ঠা Passport page সংখ্যা নির্ধারণ হয়ে গেলে ই-পাসপোর্টের e-passport এর মেয়াদ সিলেক্ট করতে হবে। ৫ বছর অথবা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করা যায়। আপনার প্রশোজনের উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট এর মেয়াদ নির্বাচন করুন। তবে মনে রাখবেন পাসপোর্টের পৃষ্ঠা Passport page ও মেয়াদের উপর ই পাসপোর্ট e-passport ফি নির্ধারিত হবে।
পাসপোর্ট পৃষ্ঠা নির্বাচনের কাজ শেষ হলে এবার আপনাকে পাসপোর্ট ডেলিভারি ধরন নির্বাচন করতে হবে।
১৫। পাসপোর্ট ডেলিভারি ধরন নির্বাচন।
সাধারনত পাসপোর্ট ৩ তিন ধরনের ডেলিভারি হয়ে থাকে। রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস। রেগুলার ডেলিভারি পাসপোর্ট হাতে পেতে ১৫ দিন থেক ২০ দিন সময় লাগে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ঠিক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যেই ই-পাসপোর্ট e-passport হাতে চলে আসে। জরুরি বা ইমেরজেন্সি পাসপোর্ট করতে Express Delivery বা Super Express বাছাই করতে পারেন।
ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের কাজ শেষ। সবশেষে এবার আপনার উপরে দেয়া সকল তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে Submit বাটনে ক্লিক করুন। সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার আবেদন কপিটি ডাউনলোড অথবা প্রিন্ট করে সংরক্ষনে রাখুন।
তৃতীয় ধাপঃ ই-পাসপোর্ট ফি প্রদান।
ই পাসপোর্ট ফরম পূরণের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এবার আপনাকে ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে হবে, ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করার জন্য এ চালান নামের A-challan এই https://ibas.finance.gov.bd/acs/general/sales#/home/dashboard ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
ওয়েবসাইটের উপরের অংশে সবুজ রঙের দুটি বক্স, প্রথম বক্সে লেখা “পাসপোর্ট” এবং দ্বিতীয় বক্সে লেখা “এনবিআর এর জন্য”। পাসপোর্ট বক্সের উপরে মাউসের কার্সর ধরলে “ই পাসপোর্ট ফি” লেখা আর একটি ম্যানু শো করবে, ই পাসপোর্ট ফি মেনুতে ক্লিক করুন।
ই-পাসপোর্ট ফি এর উপর ক্লিক করার পরে নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
এখানে আবেদনের প্রকৃতি এবং বিতরণের প্রকৃতি দুটি ড্রপডাউন বক্স আছে। “আবেদনের প্রকৃতি” থেকে আপনার পাসপোর্ট কত পৃষ্ঠার সেটি নির্বাচন করতে হবে। এবং বিতরণের প্রকৃতি থেকে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ এবং কত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ডেলিভারি চাচ্ছেন সেটি নির্বাচন করতে হবে। পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ ডেলিভারি ধরনের উপর ভিত্তি করে আপনার পাসপোর্টের ফি নির্ধারিত হবে।
পাসপোর্ট ফি নির্ধারিত হয়ে গেলে নিচের ছবির মত এমন একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এবার নিচে ডান পাশে ওকে বাটনে ক্লিক করুন।
ওকে বাটনে ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত আরেকটি ইন্টারফেস দেখতে পাবে পাবেন।
এখানে যেই ব্যক্তির নামে পাসপোর্ট ইস্যু হবে। সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর, ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল হবে প্রদান করতে হবে। এখানে নাম লেখার সময় এবং জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর দেওয়ার সময় একটি বিষয়ে খুবই গুরুত্ব সহকারে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি এখানে চালানে যে নাম লিখবেন সে নাম অবশ্যই পাসপোর্ট আবেদন যে নাম লিখেছেন সেটির সাথে বানান সহ হুবহুব মিল থাকতে হবে। মনে রাখবেন চালান এবং পাসপোর্টে নামের বানানে যদি কোনো ত্রুটি থাকে সেক্ষেত্রে চালান বাতিল হয়ে যাবে।
এছাড়া খেয়াল রাখবেন, যদি জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বারা পাসপোর্টের আবেদন করা হয় তাহলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিবেন। যাদের বয়স ২০ বছরের কম, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর দিবেন। অবশ্যই সংখ্যাগুলো শুদ্ধভাবে দিতে হবে।
এবার নিচে অর্থ পরিশোধ করার জন্য ব্যাংক নির্বাচন করুন।
এখানে অনলাইন ব্যাংকিং সিলেট করবেন। নিচে অনেক ব্যাংক দেওয়া আছে আপনি যেই ব্যাংকে চালান জমা দিতে চান সেই ব্যাংক সিলেট করুন। তবে এখানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে সোনালী ব্যাংক সিলেক্ট করলে করলে বেশি সুবিধা হয়। ব্যাংক সিলেক্ট করার পরে নিচের বামপাশে সেভ save বাটনে ক্লিক করুন। সেভ বাটনে ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত একটি ইন্টারফেস আসবে।
এখানে আপনাকে সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয় নিয়ে যাওয়া হবে এখানে আপনি তিন ভাবে পেমেন্ট জমা দিতে পারবেন। ১। সোনালী ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে ২। ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এবং ৩। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। আমরা এখানে মোবাইল ব্যাংকিং অপশনটি সিলেক্ট করলাম।
মোবাইল ব্যাংকিং সিলেট করার পরে নিচে, বিকাশ, নগদ, রকেট সহ ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং যেখান থেকে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন তা শো করবে। আপনার সুবিধামতো আপনি বিকাশ, নগদ অথবা রকেট যেকোনো একটি সিলেক্ট করে পেমেন্ট করতে পারবেন। আমরা এখান থেকে বিকাশ সিলেক্ট করলাম। বিকাশ সিলেক্ট করার পরে নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস দেখাবে।
এখানে আপনাকে পে উইথ বিকাশ Pay with Bkash অপশনে ক্লিক করতে হবে। বিকাশ পে উইথ অপশন এ ক্লিক করার পরে আপনার বিকাশ মোবাইল নাম্বারটি দিন। বিকাশ মোবাইল নাম্বার দিয়ে কনফার্ম করার পরে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে আপনার মোবাইলে আসবে। সেই কোডটি দিয়ে কনফার্ম করার পরে আপনার বিকাশ পিন নাম্বার দিয়ে কনফার্ম করে, ই-পাসপোর্ট ফি প্রদান সম্পন্ন করুন।
অনেক সময় অনলাইনে পেমেন্ট করার পরে একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার পরও লেনদেনটি ব্যর্থ হয়েছে এমন বার্তা আসতে পারে। এমন অবস্থায় আপনি ওই পেইজটি ভুলেও ক্লোজ করবেন না। আপনি ঐ পেইজের লিংকটি কপি করে নিন। কপি করা লিংক টি কোথাও সেইভ করুন। লিংকের মধ্যে এমন একটি 2122-00019740571 কোড খুজে পাবেন যেটি আপনার চালান নাম্বর।
এবার এই ওয়েবসাইটে http://103.48.16.132/echalan/ প্রবেশ করুন।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
এখানে লাল রঙে সিলেক্ট করা দুটি ছোট বক্স দেখতে পাবেন। প্রথম বক্সে আপনি লিংকে যে চালান কোটি পেয়েছেন সেটের প্রথম ৪ সংখ্যা লিখুন এবং পরবর্তী ঘরে ১১ সংখ্যা লিখে ভেরিফাই তে ক্লিক করুন। আশাকরি আপনার চালানটি এখন খুঁজে পাবেন। চালানের পিডিএফ ফাইল আপনার কম্পিউটারে সেভ করে নিতে পারেন অথবা এখান থেকে সরাসরি প্রিন্ট করেও নিতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপঃ ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য পাসপোর্ট অফিসে গমন।
ই-পাসপোর্ট e-passport আবেদন ফরম পূরণ এবং ই-পাসপোর্ট e-passport ফি জমা কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর, এবার আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য ই-পাসপোর্ট e-passport ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে। আপনি নিয়মিত ই-পাসপোর্ট e-passport অ্যাকাউন্ট লগইন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করবেন।
যেই তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে, আপনি সেদিন পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করবেন। বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে পাসপোর্ট অফিস আপনার কয়েকটি অ্যাঙ্গেলে ছবি তুলবে। আপনার চোখের আইরিশ এর ছবি তুলবে এবং আপনার দশ আঙুলের ছাপ অর্থাৎ বায়োমেট্রিক ছাপ তুলে নেবে। বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান সম্পন্ন হলে পাসপোর্ট অফিস আপনাকে একটি ডেলিভারি স্লিপ দিবে। যেটি পরবর্তীতে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে কাজে লাগবে। তাই এই স্লিপটি খুব গুরুত্ব সহকারে সংরক্ষণ করবেন, এই স্লিপ ছাড়া পরবর্তীতে পাসপোর্ট গ্রহণ করা যাবে না।
পঞ্চম ধাপঃ ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ।
এবার আপনার কাঙ্খিত ই-পাসপোর্ট e-passport সংগ্রহের পালা। পুলিশ ভেরিফিকেশনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি এসএমএস আসবে। অথবা ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া যাচাই করতে পারবেন। মোবাইলে কনফার্মেশন এসএমএস আসার পরে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ডেলিভারী স্লিপ দেখিয়ে আপনার ই-পাসপোর্ট e-passport সংগ্রহ করুন।
সর্বশেষ কথা
এতক্ষণ ই-পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত নানান বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম। ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম। অনলাইনে পাসপোর্ট ফি প্রদান করার নিয়ম। ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এ একাউন্ট করার নিয়ম সহ ইত্যাদি বিষয়গুলো ছবিসহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য এখান থেকে বুঝতে পেরেছেন। পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দিদি আপনার আরো কোনো প্রশ্ন বা কোন মন্তব্য থাকে নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনার মন্তব্য প্রদান করুন। আমরা আপনার মূল্যবান মন্তব্য গুরুত্বসহকারে নিয়ে জবাব দেবো ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র
পাসপোর্ট সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
ই পাসপোর্ট করতে প্রয়োজন হবে। ১। পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি দুই কপি ২। ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম এর প্রিন্ট কপি ৩। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ৪। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ৫। এপয়েন্টমেন্টের প্রিন্ট কপি ৬। আগের যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে তার ডাটা পেজের ফটোকপি ৭। পেশাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (যদিথাকে) ৮। নাগরিকত্ব সনদপত্র।
ই পাসপোর্ট আবেদন করার কতদিন পরে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়?
পাসপোর্ট আবেদনের ধরনের ওপর নির্ভর করে পাসপোর্ট ডেলিভারি সময়। সাধারণ পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে ২১ দিন। জরুরি পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে ১০ দিন। অতি জরুরী পাসপোর্ট ডেলিভারির সময় ২ দিন। তবে সরকারি ছুটি এবং আনুষঙ্গিক কারণে এই সময় কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য কি ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন?
ই পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে এ একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এ একাউন্ট করার জন্য ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন। ইমেইল এড্রেস ছাড়া ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এ অ্যাকাউন্ট করা যাবেনা। তাই ই পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনে করার জন্য ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন।
পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য কি জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক?
২০ বছরের কম বয়সীদের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলক নয়। তবে সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স যদি ২০ বছরের উপরে হয় সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আবেদনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন
অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান জমির পর্চা যাচাই মাত্র ২ মিনিটে।
ভুমি অফিসে না গিয়ে এখন আপনি ঘরে বসে নিজেই অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান ও দাগের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জমির সঠিক মালিকানা যাচাই করার জন্য জমির পর্চা/খতিয়ান ও দাগের তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। আর এটি করতে গিয়ে ভূমি অফিসে ঘোরাঘুরি করে মাঝখানে অনেক সময় নষ্ট হয়। এই সময় নষ্ট না করে খুব সহজে কিভাবে অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান করবেন এই নিয়ে বিস্তারিত>>
পার্সপোর্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম,
ধন্যবাদ!