বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীদের কাছে একটি আলোচিত নাম ডিলিং লাইসেন্স। ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্সের কথা সবাই জানলেও ডিলিং লাইসেন্স সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। প্রত্যেক জেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের ডিলিং লাইসেন্স এর ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু পণ্য ডিল করার জন্য ডিলিং লাইসেন্স থাকা ও বাধ্যতামূলক। যারা ডিলিং লাইসেন্স সম্পর্কে অবগত নন ডিলিং লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান আজকের লেখাটি তাদের জন্য। ডিলিং লাইসেন্স এর বিষয়ে আপনি যা জানতে চান, আশা করি পুরো লেখাটি পড়লে আপনার মনের ভিতরে যে সকল প্রশ্ন আছে, সকল প্রশ্নের উত্তর এখান থেকে পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
ডিলিং লাইসেন্স কি? What is a dealing license?
ডিলিং লাইসেন্স হলো একটি আইনগত অনুমতি পত্র বা নির্দিষ্ট পণ্য ডিল করার লাইসেন্স যা একটি ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসা চালানোর জন্য প্রয়োজন। ডিলিং লাইসেন্স ব্যবসার ধরন এবং স্থানের উপর ভিত্তি করে সরকার দ্বারা প্রদত্ত হয়। এটি ব্যবসায়ীক কার্যক্রমকে নির্দেশিত এবং নিয়ন্ত্রিত রাখতে সহায়তা করে।
ট্রেড লাইসেন্স থাকলে কি ডিলিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন আছে?
ট্রেড লাইসেন্স এবং ডিলিং লাইসেন্স দুটি আলাদা ধরনের লাইসেন্স। ট্রেড লাইসেন্স হলো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকত্ব শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স। ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম ঠিকানা ইত্যাদি নিশ্চিত করা হয়। আর ডিলিং লাইসেন্স হলো আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কিছু পণ্য ডিল করার জন্য আলাদা অনুমতি পত্র বা লাইসেন্স। তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের জন্য বলাদা ভাবে ডিলিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন আছে।
যে সকল পণ্যের জন্য ডিলিং লাইসেন্স প্রয়োজন
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের জন্য আলাদাভাবে ডিলিং লাইসেন্স প্রয়োজন। কি ধরনের পণ্যের জন্য ডিলিং লাইসেন্স প্রয়োজন নিচে তার একটি তালিকা দেয়া হলো।
যে সকল পণ্যের জন্য ডিলিং লাইসেন্স প্রয়োজন।
১। লৌহ ও ইস্পাত
২। সিমেন্ট
৩। কাপড় (খুচরা বিক্রির জন্য)
৪। কাপড় (পাইকারী বিক্রির জন্য)
৫। সুতা (খুচরা ও পাইকারী বিক্রির জন্য)
৬। দুগ্ধজাত খাদ্য পন্যের জন্য
৭। সিগারেট (পাইকারী ও খুচরা বিক্রির জন্য)
৮। স্বর্ণ (কারিগরী)
৯। স্বর্ণ (জুয়েলারী)
১০। ভোজ্য লবণ এর জন্য (বীট লবণ অন্তর্ভুক্ত নয়)
১১। চিনি (পাইকারী/সরবরাহকারী জন্য)
১২। ভোজ্য তেল (সরিষার তেল/সয়াবিন তেল/পাম তেল,/উদ্ভিজ্জ ঘি পাইকারী/ সরবরাহকারী জন্য)
১৩। ওয়াশিং এবং টয়লেট সাবান (পাইকারী/সরবরাহকারী জন্য)
১৪। স্যানিটারি এবং পানি সরবরাহ জিনিসপত্র (খুচরা এবং পাইকারী/সরবরাহকারী জন্য)
১৫। বাইসাইকেল এর খুচরা যন্ত্রাংশ, টায়ার এবং টিউব (পাইকারী/সরবরাহকারী জন্য)
১৬। গ্লাস এবং গ্লাসওয়্যার (বৈজ্ঞানিক এবং পরীক্ষাগার সরঞ্জাম পাইকারী/সরবরাহকারী)
১৭। চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রোপচার সরঞ্জাম (পাইকারী/সরবরাহকারীর জন্য)
১৮। বৈদ্যুতিক ও রেডিও সামগ্রী এবং সরঞ্জামাদি সহ কেবল ও তার, টেলিভিশন সেট বৈদ্যুতিক বাল্ব, বৈদ্যুতিক পাখা পাইকারী/সরবরাহকারী ও খুচরা ব্যাবসার জন্য)
১৯। কাগজ- কাগজ বোর্ড, সজ্জা বোর্ড, দেয়াল বোর্ড সহ কাগজপত্র, ফাইবার বোর্ড, স্ট্রো বোর্ড, বক্স বোর্ড, সেলুলাজ ওয়েডিং, সেলুলাজ ফিল্ম এবং অন্যান্য অনুরূপ উপকরণ যা সম্পূর্ণ বা প্রধানত উদ্ভিদজাত তন্তু (এসকল পন্য পাইকারী/সরবরাহকারীর জন্য)
ডিলিং লাইসেন্স আইন ও শাস্তির বিধান। Dealing License Law
ডিলিং লাইসেন্স আইন ১৯৫৬ সালে বাস্তবায়িত হয়। পরবর্তীতে এই আইনটি সংশোধন হয়ে ১৯৮১ সালে ১০ ক্যাটাগরির পণ্যের উপরে ডিলিং লাইসেন্স নেওয়া অত্যাবশ্যক করা হয়। যে সকল পণ্যের ডিলিং লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করা বাধ্যতামূলক ঐ সকল পণ্য সরবরাহকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স না থাকলে স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা/অর্থদণ্ড অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারেন।
ডিলিং লাইসেন্স ফি Dealing license fee
ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভিত্তিক পণ্যের ধরন অনুযায়ী ডিলিং লাইসেন্স ফি একেক রকম হতে পারে। এলাকা ভিত্তিক পণ্য ও পণ্যের ধরন অনুযায়ী ডিলিং লাইসেন্স ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কোন পণ্যের জন্য ডিলিং লাইসেন্স ফি কত নিচে একটি তালিকা দেওয়া হল, তালিকায় উল্লেখিত ডিলিং লাইসেন্স ফি সকল এলাকার জন্য একরকম হবে এমনটি নয়, এটি একটি মাত্র এলাকার ডিলিং লাইসেন্স ফির নমুনা তালিকা দেওয়া হল।
১। লৌহ ও ইস্পাত ৩০০০/- তিন হাজার টাকা।
২। সিমেন্ট ১৫০০/- পনেরশত টাকা।
৩। কাপড় (খুচরা) ১০০০/- এক হাজার টাকা।
৪। কাপড় (পাইকারী) ৩০০০/- তিন হাজার টাকা।
৫। সুতা (খুচরা) ৫০০/- পাঁচ শত টাকা।
৬। সূতা (পাইকারী) ১২০০/- বারোশত টাকা।
৭। দুগ্ধজাত খাদ্য ৩০০/- তিনশত টাকা।
৮। সিগারেট (পাইকারী ও খুচরা) ৩০০০/- তিন হাজার টাকা।
৯। স্বর্ণ (কারিগরী) ৭০০/- সাতশত টাকা।
১০। স্বর্ণ (জুয়েলারী) ৫০০০/- পাঁচ হাজার টাকা।
১১। ভোজ্য লবণ (বীট লবণ অন্তর্ভুক্ত নয়) ৫০০/- পাঁচ শত টাকা।
১২। চিনি (পাইকারী/সরবরাহকারী) ১৫০০/- পনের শত টাকা।
১৩। ভোজ্য তেল (সরিষার তেল/সয়াবিন তেল/পাম তেল,/উদ্ভিজ্জ ঘি) (পাইকারী/ সরবরাহকারী) ২০০০/- দুই হাজার টাকা।
১৪। ওয়াশিং এবং টয়লেট সাবান (পাইকারী/সরবরাহকারী) ২০০০/- দুই হাজার টাকা।
১৫। স্যানিটারি এবং পানি সরবরাহ জিনিসপত্র (খুচরা) ১০০০/- এক হাজার টাকা।
১৬। স্যানিটারি এবং পানি সরবরাহ জিনিসপত্র (পাইকারী/সরবরাহকারী) ২৫০০/- পচিশ শত টাকা।
১৭। বাইসাইকেল এর খুচরা যন্ত্রাংশ, টায়ার এবং টিউব (পাইকারী/সরবরাহকারী) ২০০০/- দুই হাজার টাকা।
১৮। গ্লাস এবং গ্লাসওয়্যার (বৈজ্ঞানিক এবং পরীক্ষাগার সরঞ্জামসহ) (পাইকারী/সরবরাহকারী) ফি ২০০০/- দুই হাজার টাকা।
১৯। চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রোপচার সরঞ্জাম (পাইকারী/সরবরাহকারী) ফি ৩০০০/- তিন হাজার টাকা।
২০। বৈদ্যুতিক ও রেডিও সামগ্রী এবং সরঞ্জামাদি সহ কেবল ও তার, টেলিভিশন সেট, বৈদ্যুতিক বাল্ব, বৈদ্যুতিক পাখা (পাইকারী/সরবরাহকারী) ফি ২৫০০/- পচিশ শত টাকা।
২১। বৈদ্যুতিক ও রেডিও সামগ্রী এবং সরঞ্জামাদি সহ কেবল ও তার, টেলিভিশন সেট, বৈদ্যুতিক বাল্ব, বৈদ্যুতিক পাখা (খুচরা) ১০০০/- এক হাজার টাকা।
২২। কাগজ- কাগজ বোর্ড, সজ্জা বোর্ড, দেয়াল বোর্ড সহ কাগজপত্র, ফাইবার বোর্ড, স্ট্রো বোর্ড, বক্স বোর্ড, সেলুলাজ ওয়েডিং, সেলুলাজ ফিল্ম এবং অন্যান্য অনুরূপ উপকরণ যা সম্পূর্ণ বা প্রধানত উদ্ভিদজাত তন্তু ইত্যাদি। (পাইকারী/সরবরাহকারী) ১৫০০/- পনের শত টাকা।
ডিলিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য যে সকল তথ্যের প্রয়োজন।
ডিলিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনের পূর্বে নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত থাকলে আবেদনটি ত্রুটিমুক্ত হবে।
১। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য।
২। ব্যবসার ধরন সম্পর্কে তথ্য, অর্থাৎ আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কী ধরনের পণ্যের জন্য আপনি ডিলিং লাইসেন্স আবেদন করছেন তার তথ্য।
৩। ব্যবসার জন্য যে স্থান ব্যবহৃত হবে সে স্থান সম্পর্কে তথ্য।
৪। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সম্পর্কিত তথ্য। যেমন – নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, ইমেইল, মোবাইল নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি।
৫। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো সম্পর্কিত তথ্য যেমন ট্রেড লাইসেন্স, পারমিট, সেল, ট্যাক্স সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
ডিলিং লাইসেন্স তৈরীর নিয়ম।
ডিলিং লাইসেন্স তৈরি করার জন্য আপনাকে স্থানীয় প্রশাসনে আবেদন করতে হবে উপজেলা প্রশাসন অথবা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাদের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন সাপেক্ষে ডিলিং লাইসেন্স তৈরি করতে পারবেন। ডিলিং লাইসেন্স তৈরীর আবেদন কিভাবে করতে হয় এবং আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করবেন। আবেদন ফরমের সাথে কি কি সংযুক্ত করতে হবে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
ডিলিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদনের নিয়ম। Dealing license application
ডিলিং লাইসেন্স আবেদন অনলাইনে এবং স্থানীয় প্রশাসন অফিসে সরাসরি গিয়ে তাদের ফরম পূরণ মাধ্যমেও করা সম্ভব। আমরা এখানে স্থানীয় প্রশাসন অফিসে সরাসরি ডিলিং লাইসেন্স আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ডিলিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন।
ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরমের সাথে আপনাকে যে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে নিম্নে তার একটি তালিকা দেয়া হলো।
◾ ভোটার আইডি কার্ড জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।
◾ নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি।
◾ জমির মালিকানার দলিল অথবা খারিজের কপি অথবা পর্চা সত্যায়িত কপি। ভাড়াটিয়া হলে ভাড়ার চুক্তিপত্র।
◾ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
◾ সরকারি কোষাগারে আপনার নির্ধারিত পণ্যের ফি এর জমা প্রদানের চালান এর মূলকপি। (অর্থাৎ ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরম পূরণের পূর্বে আপনার নির্ধারিত যে পণ্যের জন্য আবেদন করবেন। উক্ত পণ্যের জন্য নির্ধারিত ফি স্থানীয় প্রশাসনের নির্ধারিত চালান কোডের মাধ্যমে, সোনালী ব্যাংকের চালান ফরমে জমা দিয়ে উক্ত চালান এর মূল কপি সংযুক্ত করতে হবে।)
নতুন ট্রেড লাইসেন্স তৈরি এবং পুরাতন ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বৈধভাবে উল্লেখ করার জন্য,ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নিতে হবে। অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করার পূর্ব ধারণা না থাকার জন্য, তাড়াহুড়ো করে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করতে গিয়ে অনেক ভুল করে ফেলেন। যার ফলে ভুল ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করার বৈধতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই একটি পরিপূর্ণ নির্ভুল ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে সহজে তৈরি করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব।
ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম।
ডিলিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ডিলিং লাইসেন্স – ফরম “ক” [অনুচ্ছেদ ২২ (৩) দ্রষ্টব্য] সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে।
আবেদন ফরমের শুরুতেই বরাবর জেলা প্রশাসক – আপনি যেই জেলায় থেকে ডিলিং লাইসেন্সের আবেদন করছেন, উক্ত জেলার নাম এখানে লিখতে হবে। এরপর আপনাকে মোট ১৩ টি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। সবকটি ধাপ এর তথ্য সঠিকভাবে পূরণের পর সবার শেষে আপনাকে তারিখ এবং আবেদনকারীর স্বাক্ষর ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরম পূরণ সম্পন্ন করতে হবে।
ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরম dealing license form
বরাবর
জেলা প্রশাসক
—————————-
১। (ক) আবেদনকৃত লাইসেন্সের প্রকারভেদ———————————————————————
(খ) তফসিলভূক্ত দ্রব্যের নাম —————————————————————————————
(গ) পাইকারী/ খুচরা বিক্রয়——————————————————————————————-
২। (ক) আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানাঃ—————————————————————————
(খ) পিতা/স্বামীর নাম ও ঠিকানাঃ———————————————————————————–
(গ) জন্মস্থানঃ———————————————————————————————————-
(ঘ) জাতীয়তাঃ——————————————————————————————————–
(সার্টিফিকেট সংযুক্ত করিতে হইবে)
৩। ফার্ম জায়েন্ট ষ্টক কোম্পানী বা সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে সকল অংশীদার বা পরিচালকরা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যগণের জন্মস্থান ও জাতীয়তাসহ তাদের প্রত্যেকের নাম ও ঠিকানা—
৪। আবেদনকারীর অফিসের প্রকৃত ঠিকানা, যদি একটি ব্যবসা স্থান হইতে ভিন্ন হয়———– —————————————————————————————————————-
৫। ব্যবসা পরিচালনার স্থানের প্রকৃত ঠিকানা অর্থাৎ দোকান, গোডাউন ইত্যাদির অবস্থান———- ——————————————————————————————————————–
৬। ব্যবসা পরিচালনার প্রস্তাবিত প্রাদণটি আবেদনকারীর নিজের না ভাড়া করা ? প্রাঙ্গণের জন্য কর, যদি থাকে, প্রদানের সত্যায়িত কপি বা ভাড়া প্রদানের রশিদ, যেইক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য, দাখিল করিতে হইবে– —————————————————————————————————————
৭। মিউনিসিপ্যাল ট্রেড লাইসেন্স নং———————————————(কপি সংযুক্ত করিতে হইবে)
৮। আবেদনকারী অপ্রাপ্ত/ বয়স্ক কি না —————————————————————————
১। (ক) বাংলাদেশের জন্য কোথাও তফসিলভুক্ত কোন দ্রব্যের ধারবারের জন্য আবেদনকারীর আর কোন লাইসেন্স আছে কি না? যদি থাকে, তবে তাহার নম্বর, তারিখ এবং লাইসেন্স প্রদানের স্থান (ব্যবসা পরিচালনার স্থানের ঠিকানা) উল্লেখ করিতে হইবে————————————————————-
(খ) এই আদেশের অধীনে তফসিলভূক্ত কোন দ্রব্যের কারবারের জন্য আবেদনকারীর স্ত্রী, স্বামী, পুত্র বা অন্য কোন নির্ভরশীল ব্যক্তির কোন লাইসেন্স – আছে কি না? যদি থাকে, তবে তাহার নম্বর, তারিখ এবং লাইসেন্স প্রদানের স্থান (ব্যবসা পরিচালনার স্থানের ঠিকানা) উল্লেখ করিতে হইবে———- ————————————————————————————————————————–
১০। তফসিলভূক্ত দ্রব্যাদির কারবারের জন্য লাইসেন্স পাইয়াছে বা লাইসেন্সে জন্য আবেদন করিয়াছে এমন কোন ফার্ম বা কোম্পানীর আবেদনকারী সদস্য বা অংশীদার আছে কি না? যদি হন, তবে ফার্ম বা কম্পানীর নাম এবং ব্যবসা পরিচালনার স্থান এবং লাইসেন্স সম্পর্কিত অন্যান্য বিস্তারিত বিষয়াবলী—-
—————————————————————————————————————————-
১১। আবেদনকারী পূর্বে কোন তফসিলভুক্ত দ্রব্যের ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন কি না? থাকিলে, কত বৎসর যাবৎ এবং কোথায় ——————————————————————————————–
১২। ব্যাংক একাউন্ট, যদি থাকে, ব্যাংকের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে (ব্যাংক সার্টিফিকেট সংযুক্ত করিতে হইবে)————————————————————————————————–
১৩। (ক) আয়কর যদি থাকে আয়করের পরিমাণ ও বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করতে হইবে———— —————————————————————————————————————————
(খ) আবেদনকারী আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট পরিচিত কি না (যদি তিনি আয়কর না দিয়া থাকেন)-
আমি প্রতিদাপূর্বক বলিতেছি যে, উপরোঞ্চ বিবরণ সঠিক এবং আমার সর্বোচ্চ বিশ্বাস মতে পূর্ণাঙ্গ ।
——————- –————————————
তারিখ- আবেদনকারীর স্বাক্ষর
মোঃ নং—————————
দ্রষ্টব্য ঃ এই আবেদনের ভিত্তিতে প্রদত্ত লাইসেন্স বাতিলযোগ্য হইবে যদি এই ফরমে দাখিলকৃত কোন তথ্য ভুল বা অপূর্ণাঙ্গ প্রতিপন্ন হয়।
ডিলিং লাইসেন্স সংগ্রহ
আবেদন ফরম পূরণ সম্পন্ন হওয়ার পর উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ছবি ও চালান ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরম এর সাথে সংযুক্ত করে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরম জমা দেওয়ার ৩ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসন ডিলিং লাইসেন্স সরবরাহ করে থাকে।
সর্বশেষ
ডিলিং লাইসেন্স সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত আমরা আলোচনা করেছি। আশা করি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি আপনি এখান থেকে পেয়েছেন। আমরা এখানে সরাসরি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিভাবে ডিলিং লাইসেন্স এর আবেদন করতে হয় সেটি সম্পর্কে জানিয়েছি। অনলাইনে ও ডিলিং লাইসেন্স আবেদন করার করা যায়, কিভাবে অনলাইনে ডিলিং লাইসেন্স আবেদন সম্পন্ন করা যায় সে বিষয় নিয়ে আমরা আগামী একটি লেখায় আপনাদের বিস্তারিত বুঝিয়ে দেবো।
ডিলিং লাইসেন্স ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ব্যবসায়িক পণ্য টি যদি ডিলিং লাইসেন্স এর আওতাভুক্ত থাকে তাহলে ঝামেলা মুক্তভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনে যোগাযোগ করে ডিলিং লাইসেন্স করিয়ে নেবেন। কারণ বর্তমান প্রশাসন ডিলিং লাইসেন্সের ব্যাপারে খুবই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। ডিলিং লাইসেন্স না থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারে।
ডিলিং লাইসেন্স সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফি কোথায় জমা দিতে হবে?
ডিলিং লাইসেন্স এর জন্য আপনার পণ্যের নির্ধারিত ফি, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দিষ্ট চালান কোড এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের চালানএর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ডিলিং লাইসেন্স তৈরি করতে কত দিন লাগে?
ডিলিং লাইসেন্স আবেদন ফরম পূরণ করে জেলা প্রশাসনে জমা দেওয়ার ৩ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসন ডিলিং লাইসেন্স সরবরাহ করে থাকে।
ব্যবসা করার জন্য কি ডিলিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক?
ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। তবে আপনি যে ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন উক্ত পণ্য যদি ডিলিং লাইসেন্স এর আওতাভুক্ত হয়, তাহলে ওই পণ্যের ডিলিং লাইসেন্স করা বাধ্যতামূলক। আপনি যে ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন, তা যদি ডিলিং লাইসেন্স এর আওতাভুক্ত না হয়, তাহলে আপনার জন্য ডিলিং লাইসেন্স প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম। (How to cancel Tin certificate?
আপনার করযোগ্য আয় না থাকলে স্থায়ীভাবে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারবেন। বাংলাদেশের নিয়মিত আয়কর দাতা সহ প্রায় সকলের কাছেই টিন সার্টিফিকেট Tin certificate শব্দটি পরিচিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বর্তমান ডিজিটাল যুগে, অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের টিন নাম্বার এবং টিন সার্টিফিকেট Tin certificate প্রয়োজন হয়ে যায়। অনেকে বাধ্যতামূলক আয়কর দাতা না হয়েও, বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য সাময়িকভাবে টিন সার্টিফিকেট Tin certificate তুলতে হয়। আবার পরবর্তীতে সেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার প্রয়োজন হয়।কিভাবে খুব সহজে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করবে বিস্তারিত>>>
অনেকদিন ধরে ডিলিং লাইসেন্স বিষয়ে জানার জন্য গুগোল এ খোঁজাখুঁজি করছি। কিন্তু কোন জায়গায় বিস্তারিত তথ্য একসাথে পাইনি। তথ্য বাংলা কে ধন্যবাদ, ডিলিং লাইসেন্স এর বিষয়ে বিস্তারিত সব তথ্য তুলে ধরার জন্য ।
ধন্যবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ধন্যবাদ