ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে ইনকাম।বর্তমানে এই বিষয়টির সাথে জড়িত না থাকলেও এটি সম্পর্কে অনেকেই শুনেছেন। অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় সেটি জানার আগ্রহ এবং কৌতুহল আছে অনেকেরই। সরকারি তথ্যমতে গত বছর ৫০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে ফিলান্সিং খাত থেকে। তাই বর্তমান ডিজিটাল বান্ধব এই সরকার প্রযুক্তিখাতের ফ্রিল্যান্সিংকে খুব বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে, ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ইন্টারনেটের সাথে নিবিড় ভাবে যুক্ত থাকে। মানুষ এখন অনেক কাজেই মোবাইল, কম্পিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সমাধান করে থাকেন। তাই ইন্টারনেট মোবাইল এবং কম্পিউটার দিয়ে ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আজকের এই লেখাটিতে কিভাবে একটি মোবাইল এবং কম্পিউটার দিয়ে ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন এমন কিছু টিপস দেব। আশাকরি লেখাটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সাধারণ ধারণা। Earn money online.
অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন ১০ বছর আগে এই বিষয়টা যতটা কঠিন ছিল, বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশে, ডিজিটাল বান্ধব সরকারের সহায়তায়, ফোরজি ইন্টারনেটের যুগে অনেক অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ, যুবক, যুবতী, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে শুধু অর্থ উপার্জনই করছে না। তারা অনেকে আর্থিক ভাবে ও অনেক অনেক সচ্ছল হয়ে গিয়েছে। আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান, আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট। তবে হ্যাঁ, আপনি শুরুতেই এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্জন করতে পারবেন এমন গ্যারান্টি আমরা আপনাকে দিতে পারবো না। যদি আপনি নির্দিষ্ট কোন কাজে পারদর্শী হন এবং সেটি কন্টিনিউ করেতে পারেন তাহলে আপনি একটা সময় এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইন থেকে আয় করার জন্য আপনাকে অনেক বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে এবং ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট চালানোর বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।
অনলাইনে ইনকাম শুরু করার আগের প্রস্তুতি
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম আমাদের দেশে নতুন হলেও। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের বা অনলাইনে ইনকাম এ কাজটি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। অনলাইনে ইনকাম বা অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সহজ বিষয়টি হলো এখানে আপনাকে বড় ধরনের অর্থ ইনভেস্ট করতে হয় না এবং কোন প্রকার উচ্চতর ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না। যে কোনো কাজের দক্ষতা এবং ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট চালানোর দক্ষতা থাকলেই যথেষ্ট। আপনি বর্তমানে ফেসবুক-টুইটার ইউটিউব এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যম ঘুরে যে সময় অপচয় করেন এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আপনি পড়াশোনা, চাকরির পাশাপাশি অথবা বেকারত্ব কালীন সময়ের ইন্টারনেটের মাধ্যমগুলোতে যে সময় অপচয় করেন, সেই সময়টুকু অপচয় না করে, এখন থেকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে, অনলাইন মাধ্যম থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমি অর্থ উপার্জন করবো।আপনি ধৈর্য ধারণ করে যখন কাজ করতে থাকবেন এবং অর্থ উপার্জন শুরু হয়ে যাবে তখন আপনার কাজের স্পৃহা আরো অনেক বেড়ে যাবে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য প্রস্তুতিমূলক হিসেবে আপনাকে প্রথমে লক্ষ্য স্থির করতে হবে, ধৈর্যশীল হতে হবে এবং সাথে প্রয়োজন হবে একটি ইলেকট্রনিক্স ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট এবং যেকোনো কাজের উপরে দক্ষতা।
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ৭ টি সেরা কাজ। (Best tricks to make money online)
অনলাইনে ইনকাম করার ৭ টি সেরা কাজ নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আপনি যদি এই দশটি কাজের যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে ঘরে বসে খুব সহজে আপনি অনলাইন থেকে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
১। ব্লগিং বা আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ইনকাম। (blogging)
ব্লগিং কি?
অনলাইনে ইনকামের বেশ পুরাতন এবং অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি হছে ব্লগিং৷ ব্লগিং পদ্ধতিতে প্রতি মাসে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা ইনকাম করা সম্ভব।ব্লগিং হলো মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। এখানে আপনার মনের মতো কয়েকটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যাদের এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে। এখন আপনি অনলাইনে ইনকাম এই বিষয়ের উপর যে লেখাটি পড়ছেন, এটিও একটি ব্লগিং। আশাকরি বুঝতে পারছেন বিষয়টা।
কোন বিষয়ের উপরে ব্লগিং করলে অনলাইনে ইনকাম করা যায?
লেখালেখিতে যদি আপনার যথেষ্ট পরিমাণ আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। যে সব বিষয়ে আপনার আগ্রহ, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। সে সব বিষয়ে ব্লগিং করাটাই ভাল। এতে আপনার জন্য লেখালেখি অনেক সহজ হয়ে যাবে। সেসব বিষয়ে ব্লগিং করলে অনলাইনে ইনকাম খুব সহজে করতে পারবেন। যেসব বিষয়গুলি মানুষ অনলাইনে বেশি জানতে চায় এবং পড়ে। এরকম কিছু নির্দিষ্ট বিভাগ নির্বাচন কর, এই সকল বিভাগ থেকে আপনার জন্য লেখালেখি যেটা সহজ হবে তার উপরে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
যেমন – ভূমি সংক্রান্ত বিষয়, খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, মামলা, রান্নার রেসিপি, জীবনী, ভ্রমন কাহিনি, বিভিন্ন নতুন নতুন পণ্যের রিভিউ সংক্রান্ত বিষয়,ধর্মীয় বিষয়, বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট সম্পর্কিত গাইডলাইন, শেয়ার বাজার, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সিলেবা, ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ আপনার ভ্রমনের ক্ষেত্রে কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখে ফেলতে পারেনা।
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কোথায় লিখবেন?
এখন মূল বিষয় হলো আপনি কোথায় লিখবেন?এ জন্য সব চেয়ে বেশী ভালো, নিজের একটা ব্লগ সাইট থাক। আপনি ইচ্ছে করলে ফ্রিতে একটি ব্লগ সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন। এখন কোনো খরচ ছাড়াই অনেক সহজে ব্লগ সাইট বানানো যায়। কিন্তু ফ্রি সাইটগুলো কে মানুষ একটি কম বিশ্বাস করে।
যদি আপনার ব্লগ সাইটে লেখালেখি করে অনলাইনে ইনকাম করার একান্ত ইচ্ছা থাকে। তাহলে আপনার জন্য পরামর্শ প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে একটি ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি সাইট তৈরি করে নিন। এরপর এই ব্লগ সাইটে লেখালেখি করলেই দেখবেন ভাল ফলাফল পাবেন। আমাদের “তথ্য বাংলা” এই সাইটির মত এরকম কোন সাইট আপনি তৈরী করতে চান, তাহলে আমাদের কন্টাক্ট পেজের ফোন নাবম্বার অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
অল্প কিছু টাকা খরচ করে ব্লগিং শুরু করলে আপনার ব্র্যান্ডিং টা ভালো হয় এবং অনলাইনে আয় এর পরিমানও অনেক বেশি হয় ফ্রি সাইট গুলোর তুলনায়। আপনি টাকা খরচ করে একটি সাইট তৈরি করে, সেই সাইটে নিয়মিত লেখালেখি করলে ঐ ওয়েবসাইটটি অনেক মূল্যবান হয়ে যায। ক্ষেত্র বিশেষে একটি ভালো সাইটের মূল্য কয়েক লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত হতে পারে৷
গুগোল একটি ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য আপনার মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু ফ্রি সাইট গুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে গুগোল পুরো ডোমেইন দিবে না। আপনাকে গুগোল একটি সাব ডোমেইন দেবে। আপনি গুগলের এই ফ্রী ডোমেইন এবং ব্লগ পোস্টে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। ব্লগে লেখালেখি করার জন্য আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় মাধ্যমেই কাজ করতে পারবেন। যারা মোবাইল দিয়ে কাজ করে অনলাইনে আয় এর কথা ভাবছেন। তাদের জন্যও এটি একটি সেরা সুযোগ হতে পারে। ব্লগে আপনি যে লেখা লিখবেন সে লেখা জনপ্রিয় করার জন্য এবং সেই লেখায় প্রচুর ট্রাফিক আনার জন্য আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে ভালো ধারণা থাকলে বেশী উপকৃত হবেন।
২। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম। (Freelancing)
ফ্রিল্যান্সিং এই শব্দটির সাথে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই পরিচিত। ফ্রীলান্সিং হল কেন প্রতিষ্ঠানে প্রচলিত নিয়মে চাকুরী না করে, নিজেই স্বাধীন ব্যক্তি হিসেবে কাজ করা। বর্তমানে অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইন আয়ের অন্যতম সুবিধা হলো সকল দক্ষতাকে এখানে কাজে লাগানোর সুযোগ। আপনি যদি একাধিক কাজে অভিজ্ঞ হন, যেমন – ভিডিও এডিটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন দু’টোতেই আপনি খুব দক্ষ। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে দুই ধরনের কাজ করেই অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করে এমন মানুষের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। কেহ পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকামকরছেন। কেহ চাকরীর পাশাপাশি ফিলান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম করছেন। আবার কেউ ফ্রিল্যান্সিং কে তার জীবনের মূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি? What is the job of freelancing?
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে আয় এর জন্য আপনাকে কিছু কাজের উপরে দক্ষ হতে হবে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য যে সকল প্লাটফর্মে কাজ করবেন, ঐ সকল প্লাটফর্মে যে কাজের চাহিদা থাকে, এ ধরণের কাজের একটি তালিকা নিচে দেয়া হল।
◾ ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing )
◾ ভিডিও প্রোডাকশন (video production)
◾ ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং (photography and editing)
◾ ওয়েব ডিজাইন (web design)
◾ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও SEO)
◾ গ্রাফিক ডিজাইন (graphics design)
◾ সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
◾ লিটারেচার (লেখা ও এডিটিং)
◾ প্রোগ্রামিং (programming)
◾ কপিরাইটিং
◾ সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট
◾ অনুবাদ করা
◾ টিচিং (online teaching)
◾ এডভার্টাইজিং
◾ আর্ট ডিরেকশন
◾ কন্ঠ প্রদান (ভয়েস ওভার (Voice over artist)
◾ সাপোর্ট, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট (virtual assistant)
কোথায় আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাবেন? (Job of Freelancing)
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন প্লাটফর্মে কাজ করব? এরকম প্রশ্ন মাথায় আসলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে আপওয়ার্ক এবং ফাইবারের নাম। আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এই দুটো প্লাটফর্মে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা খুবই ভালো করছে। এই দুটিই প্ল্যাটফর্মের বাহিরেও আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে আপনি কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। ফিন্যান্সিং কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এমন কিছু ওয়েবসাইটের তালিকা নিচে দেওয়া হল।
১) আপওয়ার্ক (Upwork)
ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসের সবচেয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হলো আপওয়ার্ক। আপওয়ার্কে মূলত ছোট বড় সব ধরনের কাক পাওয়া যায়। এখানে একজন ফ্রীল্যান্সার স্বাধীনভাবে দুই ধরনের কাজ করতে পারে। যেমন – ফিক্সড প্রাইস ও আওয়ারলি প্রাইস। আপওয়ার্কের নিজস্ব একটি টাইম ট্র্যাকিং ট্যুল আছে। ঐ টাইম ট্র্যাকিং ট্যুলের মাধ্যমে আপনি একটি কাজ করতে কতটুকু সময় লাগছে তা ট্রাক করতে পারবেন। এবং আপনার বায়ার আপনাকে সেই সময়ের বিপরীতে পেমেন্ট করতে পারবে।আপোয়ার্কে কাজের এপ্লাই করতে হলে আপনাকে টাকা খরচ করে কাজের কানেক্ট কিনতে হবে। এখানে ফ্রিতে কাজ এপ্লাই করা যায় না।
২) ফাইবার (Fiverr)
ফাইভার ছোট ছোট কাজ সেল করার জন্য খুবই ভাল একটি প্লাটফর্ম। ফাইভারে প্রচুর ক্রেতা আছে। আপনি যে কাজের উপর দক্ষ যে সার্ভিসটি দিতে চাচ্ছেন তা একটি গিগ আকারে ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ তুলতে হবে। ফাইবারে ভালো করতে হলে আপনার গিগটিকে সুন্দর করে সাজাতে হবে।গিগটিকে অপ্টিমাইজ করতে হবে। কোন বায়ার যদি আপনাকে কিছু জানতে চেয়ে মেসেজ করে খুব দ্রুত রিপ্লাই দিতে হবে।বায়ারের মেসেজের রিপ্লাই দ্রুত দিলে আপনার রেসপন্স রেট বাড়বে যা আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিবে। তাছাড়াও আপনি আগে যেসব কাজ শেষ করেছে তার ফিডব্যাক আপনাকে নতুন কাজ পেতে সহায়তা করবে। ফাইবার আপনার প্রতি কাজের থেকে ২০% টাকা কেটে নিবে তাদের ফী হিসেবে।
৩) টপটাল (Toptal)
টপটাল আপওয়ার্ক এবং ফাইবারের মত এটিও একটি একটি ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট। টপটাল প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা বিশ্ব পর্যায়ে শীর্ষস্থানীয় ৩% ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করতে পারে। টপটালে শুধু এক্সপিরিয়েন্সড ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করা হয়। টপটালে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় $50-$25 (USD) ডলার আয় করতে পারে। আপনি যদি নিজের স্কিল বৃদ্ধিতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেন এবং একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনি তাদের একজন হতে পারেন।
৪) সিমপ্লি হায়ার্ড (Simply Hired)
সিম্পি হায়ার্ড এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো হল আপনি নিজের কাছের লোকেশনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলি ব্রাউজ করতে পারেন। আপনি সর্বোচ্চ টাকা বেতনের একটি লিস্ট তৈরি করতে এবং আপনার কাজের জন্য আপনার ফি কেমন হবে তা জানতে সিম্পি হায়ার্ড এনকিছু টুল রয়েছে এসব টুল আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
৫) পিপল পার আউয়ার (People Per Hour)
পিপল পার আউয়ার এই প্লাটফর্মে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা তাদের সার্ভিস ব্যবহার করে। প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারের কাজের বেসিসে একটি রেটিং থাকে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এটি বিনামূল্যে সার্ভিস দেওয়া হয়।তবে এখানে কাজ করার জন্য প্রতিযোগিতা খুব চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
৬) গুরু (Guru )
গুরু এই প্লাটফর্মে কম টাকার কাজের লিস্টিং খুব কম পাবেন। গুরু এই সাইটটি ডিজাইন করা হয়েছে ফ্রিল্যান্সার বিশেষজ্ঞ গ্রুপকে (Group) আকর্ষণ করার জন্য।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য এই ৬ টি ওয়েবসাইট ছাড়াও আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে। তবে আপনি যদি ফিলান্সিং নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে ফাইবার এবং আপওয়ার্কে কাজ শুরু করাই সবচাইতে উত্তম।
CHAT GPT চ্যাট জিপিটি কি? চ্যাট জিপিটি থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়?
বর্তমানে সারা দুনিয়ার প্রযুক্তি খাতে হইচই ফেলে দিয়েছে যে সফটওয়্যার তার নাম Chat GPT চ্যাট জিপিটি। আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লাইভ চ্যাটে রোবট বোটের মাধ্যমে কথা বললেও Chat GPT চ্যাট জিপিটি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অনন্য একটি প্রযুক্তি। Chat GPT means জিপিটি এর পূর্ণরূপ হলো – জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার (generator pretrained transformer)। চ্যাট জিপিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি চ্যাটবোট বা সার্চ টুল।
৩। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অনলাইনে ইনকাম। (Earn money by YouTube)
শুনে অবাক হবেন, বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল আছে যাদের ইনকাম প্রতিমাসে চল্লিশ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অনলাইন থেকে আয় করতে চাইলে আপনিও ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে আয় করতে পারেন। ইউটিউব এর জন্য ভিডিও তৈরি করতে আপনার হাতে একটি ভালো স্মার্টফোন থাকলেই চলব। প্রথমদিকে ভিডিও তৈরি করার জন্য নামি দামি ক্যামেরা নামি দামি ল্যাপটপ না হলেও চলবে। এ দেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে যারা প্রথমদিকে শুধু মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম শুরু করেছে। পরবর্তীতে তারা ইনকাম হওয়ার পরে নামিদামি গেজেট কিনে তা দিয়ে ভিডিও বানানোর শুরু করেছে। আপনিও ভালো কোন কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।
কখন ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনলাইনে ইনকাম শুরু হবে? (YouTube income)
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের ক্ষেত্রে ভিডিও আপলোড করার পর পরই ইনকাম শুরু হবে না। ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে হলে চ্যানেল মনেটাইজ হতে হয়। চ্যানেল মনেটাইজেশন পািয়ার জন্য কপপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ আওয়ার প্রয়োজন হয়।এই প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রাইবার ও ওয়াচ আওয়ার পূর্ণ করতে সময় লাগে। তবে আপনার ভিডিও যদি মানুষের কাছে খুবই ভালো লাগে এবং এটা মানুষ ব্যাপকভাবে দেখে, তাহলে এই সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াজ আওয়ার হতে সময় লাগে না। আপনার চ্যানেল একবার স্পটলাইটে চলে আসলে খুব সহজেই গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ভাবে অনলাইনে ইনকামের পথ খুলে যাবে।
৪। ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইনে ইনকাম (Website)
আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করি, কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম কয়েক লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। যদি ওয়েবসাইট বানানোর বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকে। তহলে আপনিও এরকম ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেটি সচল করে একটা সময় অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ। একটু ইন্টারনেট বিষয়ে স্মার্ট হলে যে কেউ চাইলেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে।
যে সব ওয়েবসাইট অনলাইনে খুব সহজে বানানো যায়, সেগুলোর তেমন কোনো চাহিদা থাকে না! কিন্তু আপনার বানানো ওয়েবসাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে, সেক্ষেত্রে ভাল একটি দাম পেতে পারেন। যে ওশেবসাইট গুলো অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। সে ওয়েবসাইট গুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তো বেশ। কিন্তু ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইন থেকে আয় করবেন যদি এমন ইচ্ছা থাকে তাহলে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। ওয়েব ডিজাইনিং শিখলে আপনি নিজে নিজেই ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে ওয়েব সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ওয়েবসাইট তৈরি শেখার জন্য আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে অথবা ওয়েব ডিজাইন শিখায় এমন কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইন কোর্স করেও শিখতে পারেন। ওয়েব ডিজাইনিং শেখার পরে আপনি ওয়েবসাইট বিক্রি না করেও, কারো যদি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং বা ওয়েবসাইট ডেভলপিং প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের ওয়েবসাইটের কাজ করেও আয় করতে পারবেন। এই কাজের একটি ভালো দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে নতুন নতুন কাজের সুযোগ পাবেন। এবং চাকরি ক্ষেত্রেও এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে।
৫। ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম (Dropshipping)
ড্রপশিপিং কি?
ড্রপসিপিং হলো মূল পণ্য বিক্রেতা এবং ক্রেতা এই দুজনের মাঝখানে নিজেকে একজন বিক্রেতা হিসেবে তৈরি করে পণ্যের লভ্যাংশ নেওয়া।
ড্রপশিপিং কিভাবে করতে হয়?
ড্রপ শিপিং করা খুবই সহজ একটি কাজ তবে একটু বুদ্ধিমান এবং দক্ষ হতে হয়। ড্রপ শিপিং করার জন্য আপনার নিজের একটি ই-কমার্স সাইট থাকতে হবে। আপনি চাইলে ড্রপশিপিং আন্তর্জাতিক বাজারে অথবা দেশের বাজারেও করতে পারেন। আন্তর্জাতিক বাজারে ড্রপ শিপিং করার জন্য আন্তর্জাতিক যেসকল বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন আলীএক্সপ্রেস অ্যামাজন তাদের যে পণ্য বিক্রি হয়, ঐ পণ্যগুলো আপনার নিজস্ব ই-কমার্স সাইটে তাদের থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার একটি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয় থাকতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে যেসকল ক্রেতা পণ্য অর্ডার করে পেমেন্ট পরিশোধ করবে।
তাদের ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার নিয়ে শেইম পন্যটি আলীএক্সপ্রেস অথবা অ্যামাজন সাইট এ আপনি অর্ডার করে দিলে, তাদের ঠিকানায় আলীএক্সপ্রেস এবং অ্যামাজন পণ্যটি পৌঁছে দেবে। মাঝখানে আপনি একটি লভ্যাংশ হাতে পেয়ে যাবে। তদ্রূপ ভাবে দেশীয় বাজারে আপনি এরকম ভাবে ড্রপ শিপিং করতে পারেন। তবে দেশীয় বাজারে পণ্য সরাসরি নিজের কাছে এনে নিজে ডেলিভারি দেওয়া ভালো। তা না হলে পরবর্তীতে মূল বিক্রেতা এবং ক্রেতার সাথে সংযোগ তৈরি হলে আপনি কাস্টমার হারাবেন।
৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম (Affiliate Marketing)
বর্তমানে সারাবিশ্বে অনলাইনে ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)। বাংলাদেশেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এ কাজ এর সংখ্যা বাড়ছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করা অনেক সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজের ধারনা না থাকায় সাধারন মানুষের এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছে না।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?
বর্তমানে সারা বিশ্বের মানুষের ভিতরে অনলাইনে কেনাকাটা করার আগ্রহ অনেক বেশি। তাই বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ই-কমার্স (E-Commerce) প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কিছু আছে আন্তর্জাতিকভাবে সারাবিশ্বে পণ্য ডেলিভারি করে থাকে। এই আন্তর্জাতিক ই-কমার্স (E-Commerce) প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) নামে একটি সেকশন রয়েছে।
আন্তর্জাতিক এর সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। আপনার বন্ধু-বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আছ, তাদের সাথে প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া কিছু গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এবার আপনার এই নির্দিষ্ট ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট থেকে, বিভিন্ন পন্যের বিবরন সহ একটি লিঙ্ক তৈরি করে, কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। ঐ গ্রুপ থেকে আপনার লিংকে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি কিনে, তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন।
এক্ষেত্রে একটি সুবিধা হল আপনার কমিশনের জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের এই পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির মূল দাম যেটি ছিল সে দামেই মানুষ কিনতে পারবে। আপনার পাঠানো লিংক থেকে। ড্রপশিপিং এর ক্ষেত্রে পণ্যের দাম বাড়িয়ে তারপর সেখান থেকে লভ্যাংশ নিতে হয়। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করে আয় এর ক্ষেত্রে, আপনাকেঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও সুস্পষ্ট ধারনা থাকাতে হবে।
এক্ষেত্রে একটি সুবিধা হল আপনার কমিশনের জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের এই পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির মূল দাম যেটি ছিল সে দামেই মানুষ কিনতে পারবে। আপনার পাঠানো লিংক থেকে। ড্রপশিপিং এর ক্ষেত্রে পণ্যের দাম বাড়িয়ে তারপর সেখান থেকে লভ্যাংশ নিতে হয়। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করে আয় এর ক্ষেত্রে, আপনাকেঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও সুস্পষ্ট ধারনা থাকাতে হবে।
এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয়। আপনি যদি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন৷ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম (Amazon Affiliation Program) বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৭| অনলাইনে পড়িয়ে ইনকাম (Income by teaching online)
আমাদের দেশে একটি প্রচলিত সিস্টেম আছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অথবা কোনো কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে শিক্ষকরা পড়ায়। এভাবে পড়িয়ে মাসে অনেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেতে পারেন বা কম বেশী । কিন্তু এভাবে বাসায় গিয়ে গিয়ে এবং কোচিং সেন্টার খুলে পড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় এবং অর্থ যাতায়াতেই চলে যায়।
অন্যদিকে কোচিং সেন্টারের জন্য ভালো পরিবেশে জায়গা জোগাড় করাও একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সহ বিশ্বে যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেটি হলো অনলাইন টিচার (Online Teacher) কনসেপ্ট। আপনি চাইলেই ঘরে বসেই অনলাইনে ছাত্র ছাত্রীদের পড়িয়ে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করেতে পারবেন। বর্তমান বিশ্বে ৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইনে শিক্ষা দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও এর জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক বেশি। বর্তমানে আমাদের দেশেও এরকম বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে যেখানে অনলাইনে পড়ানো হয়। এর মধ্যে টেন মিনিট স্কুল অন্যতম। আপনি টেন মিনিট স্কুল (10 minute School) তাদের থেকেও অনেক ধারনা নিতে পারেন। এটি শুরু করলে প্রথমে হয়তো বিভিন্ন বাধা বিপত্তি আসরে। ছাত্র ছাত্রী খুঁজতে বেগ পেতে হতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে অনেক সুবিধা পেতে পাবেন এখানে থেকে।
সর্বশেষ কথা
অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে যেকোন একটি কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি কোনো কাজে দক্ষ না হয় অনলাইনে ইনকাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যান তবে আপনার সময় এবং পরিশ্রম বৃথা যাবে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনাকে যেকোন কাজ আগে থেকে ভালোভাবে শিখতে হবে। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে শেখার অনেক মাধ্যম আছে। আমারে আর্টিকেলে আপনাকে বেসিক একটা ধারণা দিয়েছি। আপনি এই বিষয়বস্তু থেকে যে কোন একটি কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য কোন উচ্চতর ডিগ্রির প্রয়োজন হয়না। প্রয়োজন হয়না বড় অঙ্কের কোন ইনভেস্টের। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য, কাজের আগ্রহ এবং যেকোনো কাজের উপর দক্ষতা।
ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে খুবই ভাল লাগলো। এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে দেয়াতে বিষয় গুলি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছি।