আজকে আমরা হার্নিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করবো। অনেকের শরীরের পেটের অংশে হঠাৎ ব্যথা সহ ফোলা অনুভব হয়। কোন ভারী বস্তু তুলতে কষ্ট হয় কিন্তু বুঝতে পারেন না কী জন্য, কী সমস্যার জন্য এটি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি হার্নিয়া রোগের কারণ এ ধরনের সমস্যা হয়। সঠিক সময়ে হার্নিয়া রোগের লক্ষণ বুঝে চিকিৎসা নিলে দ্রুত প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। সঠিক সময়ে হার্নিয়া (Hernia) রোগের চিকিৎসা না নিলে এই রোগ আস্তে আস্তে জটিল আকার ধারণ করে। আশা করি পুরো লেখাটি পড়লে আপনি হার্নিয়া রোগ সম্পর্কে এবং এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
হার্নিয়া রোগ কি? Hernia Disease
শরীরের অন্যান্য রোগের মতো হার্নিয়া (Hernia) ও একটি রোগ। শরীরের ভেতরে কোন অংশ বা বিশেষ অঙ্গ আবরণকারী পর্দা ভেদ করে বাহিরে চলে আসাকে হার্নিয়া (Hernia) বলে। আমাদের শরীরে পেটের উপরের অংশের চামড়া এবং পেটের মাঝখানে যে দেয়ালটি আছে এই দেয়ালের পেশী দুর্বল হওয়ার কারণে, পেশী ভেদ করে টিস্যু বেরিয়ে আসে এই বেরিয়ে আসার নাম কে বলা হয় হার্নিয়া (Hernia)। সাধারণত এটি উপরিভাগের চামড়া ভেদ করে বাহিরে বেরিয়ে আসে না। এটি চামড়ার নিচে মাঝখানের দেয়াল ভেদ করে চামড়ার ভিতরে অবস্থান করে। এটি চামড়ার উপর দিয়ে ফোলা দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে ফোলা অংশ অনেক বড় দেখা যায়। আরো সহজ করে বলতে গেলে কোন বিল্ডিং এর দেয়ালের যে কোনো এক অংশে পলেস্তার এবং রঙ নষ্ট হয়ে পানি ঘামতে দেখা যায় এটাকে বলা হয় বিল্ডিং এর ড্যাম। ঠিক তেমনি পেটের পাকস্থলী, নাড়িভুঁড়ির উপরে একটি দেয়ালের মতো আছে, এর বাহিরে হল চামড়া। এই দেয়াল টি যখন দুর্বল হয়ে যায় অর্থাৎ এর পেশী যখন দুর্বল হয়ে যায় তা ছিদ্র হয়ে যে টিস্যু বের হয়ে আসে এটাকেই বলা হয় হার্নিয়া (Hernia)।
হার্নিয়া কেন হয়? হার্নিয়া রোগের কারণসমূহ কি? Causes of Hernia Disease
বিভিন্ন কারণে হার্নিয়া (Hernia) রোগ হতে পারে। হার্নিয়া একবার সার্জারি করে সুস্থ হওয়ার পর এটি আবারো হতে পারে। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু হার্নিয়া (Hernia) রোগ হওয়ার কারন দেওয়া হলো।
▶ দীর্ঘদিন যাবত ভারী জিনিস উত্তোলন করার ফলেও হার্নিয়া (Hernia) রোগ হতে পারে।
▶ পেটে ধারালো বা শক্ত আঘাতের ফলে পেটের পেশী বা পেটের চামড়ার নিচে দেয়াল দুর্বল হয়ে গেলে হার্নিয়া (Hernia) রোগ হতে পারে।
▶ দীর্ঘদিন যাবত কাশি বা ফুসফুসের কোন রোগ যার ফলে অনবরত কাশি হয় এটিও হার্নিয়া রোগ হওয়ার কারণ।
▶ কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যার জন্য মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত পেটে চাপ প্রয়োগ করার ফলে হার্নিয়া রোগ হতে পারে।
▶ প্রসাবের সমস্যা জনিত কারণে প্রসাব করার সময় পেটে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগে এর ফলে হার্নিয়া রোগ হতে পারে।
▶ সময়ের আগে জন্ম গ্রহণ, কম ওজন এ ধরনের শিশুর ভবিষ্যতে হার্নিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
▶ হার্নিয়া (Hernia) রোগ শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্কদের ও হয়ে থাকে। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পেটের পেশী দুর্বল হওয়ার ফলে হার্নিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
▶ গর্ভধারণের পর পেটে অতিরিক্ত চাপ এর ফলে পেটের পেশী দুর্বল হয়ে হার্নিয়া (Hernia) হওয়ার কারণ হতে পারে।
হার্নিয়া রোগের লক্ষণ। হার্নিয়া রোগের লক্ষণ সমূহ কি? Symptoms of Hernia
হার্নিয়া রোগের সাধারন কিছু লক্ষণ সমূহ উল্লেখ করা হলো। Symptoms of Hernia.
▶ হার্নিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির পেটে নাভীর আশেপাশে অথবা পেটের যে কোনো অংশে পিণ্ড বা ফোলা দেখা যাবে।
▶ হার্নিয়া আক্রান্ত স্থানের চারপাশের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা অনুভব হয়।
▶ অনেকের হার্নিয়ায় ব্যথা অনুভব হয় কিন্তু হার্নিয়ার অংশে ফোলা বা পিন্ড দেখা যায় না।
▶ হার্নিয়ার তীব্র ব্যথার পাশাপাশি অনেকের বমি হতে পারে।
▶ হার্নিয়ার ব্যথা পেটের নাভি এলাকার আশেপাশে এবং কুঁচকিতে হয়ে থাকে।
ছেলেদের বা পুরুষের হার্নিয়া কেন হয়?
মেয়েদের তুলনায় পুরুষের হার্নিয়া হওয়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মানবদেহের শরীরের পিঠের দিকটা যতটা সুরক্ষিত তার থেকে বিপরীত পেটের দিকটা, পিঠের মত পেটটা টা এতটা সুরক্ষিত নয়। মানবদেহের পেটের আকৃতিতে কিছু দুর্বলতা আছে, এজন্য কোনো কারণে যদি পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে সেই ছিদ্রগুলো বড় হয়ে ভেতর থেকে অনেক কিছু বের হয়ে আসতে পারে। এ ধরনের প্রকৃতিক দুর্বল কেন্দ্র হল পেটের নাভি অথবা ছেলেদের কুকের অংশ। জন্মের আগে মানুষের নাভির মাধ্যমে মায়ের শরীরের সঙ্গে শিশুর যোগাযোগ থাকে। জন্মের পর নাভি বিচ্ছিন্ন করার পরেও ছিদ্র রয়ে যায়। আর ছেলেদের বা পুরুষের অন্ডকোষ জন্মের আগে পেটের ভিতরে থাকে, এটি পরবর্তীতে কুচকি দিয়ে অণ্ডথলিতে নেমে আসে, পেটের ভেতর থেকে অণ্ডকোষ অণ্ডথলিতে নেমে আসা পরে কুচকিতে এই পথটি রয়ে যায়। এই যে দুটি ছিদ্রযুক্ত জায়গা নাভির অংশ এবং কুচকি ছেলেদের বা পুরুষের জন্মগত ভাবে শরীরে থাকে এজন্য ছেলেদের বা পুরুষের হার্নিয়া বেশি হয়।
মেয়েদের হার্নিয়া কেন হয়?
জন্মের আগে মানুষের নাভির মাধ্যমে মায়ের শরীরের সঙ্গে শিশুর যোগাযোগ থাকে। জন্মের পর নাভি বিচ্ছিন্ন করার পরেও ছিদ্র রয়ে যায়। গর্ভধারণের ফলে মেয়েদের পেট স্বাভাবিকের থেকে বেশি বড় বড় হওয়ার ফলে জন্মগতভাবে নাভির পাশে যদি কোন ছোট ছিদ্র থাকে সেটি বড় হয়ে যেতে পারে। অথবা সন্তান জন্মের সময় মায়ের সিজার হলে সিজার পরবর্তীতে হার্নিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে অনেক মেয়ে শরীর ফিট রাখার জন্য ইয়োগা, জিম করার ফলে পেতে পেতে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ এর ফলে হার্নিয়া রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, ঠান্ডা জনিত সমস্যার জন্য অনবরত কাশির ফলেও মেয়েদের হার্নিয়া হতে পারে।
হার্নিয়ার প্রকারভেদ।
ডাক্তারি ভাষায় হার্নিয়া বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে তবে সব হার্নিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি সার্জারি। নিচে কয়েক প্রকার হার্নিয়ার নাম উল্লেখ করা হলো। বিভিন্ন ধরণের হার্নিয়াস রয়েছে, যা নিম্নরূপ শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে:
১। ইনগুইনাল হার্নিয়া (Inguinal Hernia): কুঁচকি স্থানের হার্নিয়া। এটি সবচেয়ে সাধারণ হার্নিয়া এবং সাধারণত পুরুষদের প্রভাবিত করে। ইনগুইনাল হার্নিয়া হল উপরের পেটের মাঝখানে একটি অনিয়মিত পিণ্ড, যা কাঁধের দিকে স্থানান্তরিত হয়।
২। ফেমোরাল হার্নিয়া (Femoral Hernia): কুঁচকি স্থানের নিচে জননাঙ্গের কাছাকাছি এর অবস্থান। এটি অসম্পূর্ণভাবে দেখা যায় এবং বেশিরভাগ পুরুষদেরও মহিলাদের মধ্যে অসম্পূর্ণভাবে দেখা যায় না। এটি পেটের প্রাচীরের পেশীবহুল শীর্ষে পাওয়া যায় এবং মেনিঞ্জিয়াল খিলান দ্বারা পরিচালনা করা যেতে পারে।
৩। আম্বিলিকাল হার্নিয়া (Umbilical Hernia): নাভি স্থানের হার্নিয়া। এটি নাভি অঞ্চলের উপরে বা নীচে অবস্থিত। এটি সাধারণত ডাক্টাস আর্টেরিওসাসে ঘটে এবং শিশুর অবস্থান পরিবর্তন না করেই শিশুদের হার্নিয়া হতে পারে।
৪. স্পাইজেলিয়ান হার্নিয়া (Spigelian Hernia): এটি উদরের উপরের ২ মাসেলের সংযোগ স্থানের হার্নিয়া। স্পাইজেলিয়ান হার্নিয়া হলো মেডিয়েন লাইন নামক সীমারেখা বা স্পাইজেলিয়ান লাইন নামক সান্ধানিক রেখার মধ্যে ঘটে। এই ধরনের হার্নিয়া মুখোশের অংশ সংযুক্ত হয় যা পেটের মাঝামধ্যে অবস্থিত হয়।
৫। ইপিগ্যাস্ট্রিক হার্নিয়া (Epigastric Hernia): পাকস্থলীর উপরিভাগের হার্নিয়া। এটি নাভি অঞ্চলের উপরে অবস্থিত। এই ধরনের হার্নিয়ায় পেটের মধ্যবর্তী অংশের মধ্যে পরিষ্কার একটি ফাংশন হয়, যার মাধ্যমে অংশগুলি পেটের আমাদের উচিত অংশের পাশে নিয়ে যায়। ইপিগাস্ট্রিক হার্নিয়া সাধারণত মাংসপেশীর একটি সমতল অংশে উত্পন্ন হয় যা পেটের বাম বা ডান পাশে অবস্থিত হতে পারে।
উপরে উল্লিখিত প্রকারগুলি কেবল হার্নিয়ার সাধারণ প্রকার।
রোগ অনুযায়ী সঠিক ডাক্তারের কাছে না গেলে সময় এবং অর্থ দুটি নষ্ট হতে পারে। তাই কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন বিস্তারিত জানতে এই লেখাটি পড়ুন।
হার্নিয়া রোগের ঔষধ
হার্নিয়া রোগের চিকিৎসায় ঔষধ প্রয়োগ করা হলেও এটি সাধারণত হার্নিয়ার প্রয়োজনগুলি মিটাতে সহায়তা করে না। হার্নিয়ার সঠিক চিকিৎসার জন্য সাধারণত অপারেশন প্রয়োজন হয়। হার্নিয়া চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। আমি আগে উল্লেখ করেছি, হার্নিয়া সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সার্জারি হল হার্নিয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকর এবং সাধারণ চিকিত্সা, যেখানে প্রসারিত টিস্যু বা অঙ্গগুলিকে আবার জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয় এবং হার্নিয়া খোলার মেরামত করা হয়। হার্নিয়া সম্পর্কিত ব্যথা বা অস্বস্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধগুলি নির্ধারিত হতে পারে, তবে তারা হার্নিয়া নিজেই নিরাময় করে না। হার্নিয়ার সঠিক মূল্যায়ন এবং চিকিত্সার বিকল্পগুলির জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার বা হার্নিয়া বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
হার্নিয়া রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা। Ayurvedic treatment of hernia.
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতি। হার্নিয়া সহ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পরিচালনার জন্য সামগ্রিক পদ্ধতির প্রস্তাব করে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শরীর, মন এবং আত্মার ভারসাম্য বজায় রাখার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায়। যাইহোক, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে আয়ুর্বেদিক চিকিত্সাগুলি একজন যোগ্য আয়ুর্বেদিক অনুশীলনকারীর নির্দেশনায় অনুসরণ করা উচিত। এখানে কিছু আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি রয়েছে যা হার্নিয়ার জন্য সুপারিশ করা যেতে পারে:
➤ ভেষজ প্রতিকার: অশ্বগন্ধা, শতবরী, গুগ্গুলু এবং ত্রিফলার মতো আয়ুর্বেদিক ভেষজগুলি সাধারণত হজমের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে এবং পেটের পেশীকে শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয়। এই ভেষজ গুঁড়ো, ক্যাপসুল, বা decoctions আকারে নির্ধারিত হতে পারে।
➤ পঞ্চকর্ম থেরাপি: পঞ্চকর্ম হল আয়ুর্বেদে একটি ডিটক্সিফিকেশন এবং পুনরুজ্জীবন থেরাপি। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ এবং ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন পরিষ্কারের পদ্ধতি জড়িত। বিরেচনা (থেরাপিউটিক শুদ্ধকরণ) এবং বাস্তি (ওষুধযুক্ত এনিমা) দুটি পঞ্চকর্ম চিকিত্সা যা হার্নিয়ার জন্য উপকারী হতে পারে।
➤ খাদ্যতালিকা এবং জীবনধারার সুপারিশ: আয়ুর্বেদ একটি সুষম খাদ্য এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। একজন ব্যক্তির দোশা (শরীরের ধরন) এবং হার্নিয়ার প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকাগত সুপারিশ পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, সহজে হজমযোগ্য খাবার, উষ্ণ হার্বাল চা এবং ভারী, মশলাদার এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত ব্যায়াম, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল, এবং সঠিক অঙ্গবিন্যাসও পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে হার্নিয়া রোগের কিছুটা উপশম পেলেও হার্নিয়া পুরোপুরি ভাবে নিরাময় সম্ভব নয়। হার্নিয়া রোগের একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি সার্জারি। তাই সার্জারি না করে হার্নিয়া নিয়ে অবহেলা করা উচিত না, এতে রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
হার্নিয়া রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। Homeopathic treatment of Hernia.
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ব্যক্তিগত চিকিৎসা পদ্ধতি যা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির লক্ষণ, সমস্যা এবং সাধারণ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ভিত্তিক নির্বাচন করে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয়, যা নির্দিষ্ট লক্ষণ এবং সমস্যা সঙ্গে মিলে যায়। এখানে কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার রয়েছে যা হার্নিয়ার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে:
➤ Nux vomica: এই প্রতিকারটি প্রায়ই পেটের দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের ব্যাঘাতের সাথে যুক্ত হার্নিয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। এটি এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে যারা অত্যধিক খাওয়া, অ্যালকোহল বা মশলাদার খাবারের কারণে লক্ষণগুলি আরও খারাপ করে।
➤ Lycopodium: লাইকোপোডিয়াম: লাইকোপোডিয়াম প্রায়ই পেট ফাঁপা, ফোলাভাব এবং পেটে পূর্ণতার অনুভূতি সহ হার্নিয়াসের জন্য নির্ধারিত হয়। এটি এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে যাদের বদহজমের প্রবণতা রয়েছে এবং উষ্ণ খাবার এবং পানীয়ের সাথে ভাল বোধ করেন।
➤ Calcarea carbonica: ক্যালকেরিয়া কার্বোনিকা: এই প্রতিকারটি সাধারণত দুর্বল পেটের প্রাচীর এবং স্থূলতার দিকে প্রবণতার সাথে যুক্ত হার্নিয়াগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্যালকেরিয়া কার্বোনিকা প্রয়োজন এমন ব্যক্তিরা ঠান্ডা, অতিরিক্ত ঘাম এবং ডিম এবং অন্যান্য সমৃদ্ধ খাবারের আকাঙ্ক্ষা অনুভব করতে পারে।
➤ Silicea: সিলিসিয়া: সিলিসিয়া একটি দুর্বল সংযোগকারী টিস্যু এবং ধীর নিরাময় সহ হার্নিয়াসের জন্য নির্দেশিত হয়। এটি এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে যারা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং সংক্রমণ প্রবণ। তারা একটি ঠাণ্ডা স্বভাব থাকতে পারে এবং উষ্ণ পানীয় কামনা করতে পারে।
➤ Bryonia: ব্রায়োনিয়া: ব্রায়োনিয়া প্রায়ই সেলাই বা ছিঁড়ে যাওয়া ব্যথা সহ হার্নিয়াসের জন্য নির্ধারিত হয়। এটি এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে যারা চাপ থেকে উপশম অনুভব করে এবং স্থির থাকে।
হার্নিয়া অপারেশন খরচ
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ হার্নিয়া চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতি এবং যে ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এটিই শুধু একটি উদাহরণ মাত্র। কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিজে নিজে এই পদ্ধতির মাধ্যমে হার্নিয়ার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন না। মনে রাখবেন চিকিত্সা নেওয়ার জন্য একজন উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি হার্নিয়ার চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করতে চাইলে, একজন উপযুক্ত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ সেবন করবেন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে হার্নিয়া রোগের কিছুটা উপশম পেলেও হার্নিয়া পুরোপুরি ভাবে নিরাময় সম্ভব নয়। হার্নিয়া রোগের একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি সার্জারি। তাই সার্জারি না করে হার্নিয়া নিয়ে অবহেলা করা উচিত না, এতে রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
হার্নিয়া থেকে মুক্তির উপায় – হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি। Hernia treatment methods.
হার্নিয়া এমন একটি রোগ এটি কোন ধরনের ঔষধ এর মাধ্যমে নিরাময় হয় না এবং এটি নিজে নিজে ভালো হয়ে যায় না। হার্নিয়া রোগ এর চিকিৎসা দ্রুত শুরু না করলে আস্তে আস্তে এটি মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। হার্নিয়া (Hernia) রোগের একমাত্র চিকিৎসা হলো অপারেশন। হার্নিয়া (Hernia) অপারেশনের মাধ্যমে পেট থেকে যে অঙ্গ বা অংশ পেশী ভেদ করে বেরিয়ে এসেছে সেটিকে পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে দিয়ে দুর্বল মাংসপেশি এবং কোষগুলোকে শক্ত টানটান করে দেওয়া হয়। অনেকই অপারেশনের কথা শুনলেই ভয় পেয়ে যায়! হার্নিয়া (Hernia) রোগের অপারেশন কোনো জটিল এবং বড় অপারেশন নয়, যদি আপনি রোগের শুরুতেই এর চিকিৎসা গ্রহণ করেন। হার্নিয়া (Hernia) রোগের অপারেশন বা অস্ত্রোপচার দুটি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে একটি হলেও ▶ ওপেন সার্জারি এবং অপরটি হলো ▶ ল্যাপারোস্কপি সার্জারি ।
ওপেন সার্জারি পদ্ধতি কি ? Hernia surgery
হার্নিয়া (Hernia) চিকিৎসায় ওপেন সার্জারি বা অস্ত্রোপচার হলো পেটের একটি অংশ কেটে হার্নিয়ার সমস্যার সমাধান করে পরবর্তীতে সেলাই করে দিবে। ওপেন সার্জারির মাধ্যমে হার্নিয়ার চিকিৎসা হলে রোগীকে ৬ মাস বিশ্রামে থাকতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত রোগী হাঁটাচলা এমনকি শরীরের চাপ পড়ে এমন কোনো কার্যকলাপ করতে পারবেন না।
হার্নিয়া ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি। Laparoscopic surgery for Hernia
হার্নিয়া চিকিৎসায় ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি সবথেকে ভালো। ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি তে কোন ধরনের কাটাছেঁড়া করা হয়না। এটি পেটের একটি অংশে ছিদ্র করে ক্যামেরার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে হার্নিয়ার অপারেশন করার পর রোগী দুই দিন পরেই বাড়ি ফিরে যেতে পারে এবং এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। এক থেকে দুই সপ্তাহ পরে হালকা কাজকর্ম শুরু করতে পারেন। ল্যাপারোস্কপি অপারেশনের অন্তত চার সপ্তাহ পর ভারি কাজ কর্ম শুরু করতে হবে।
হার্নিয়া অপারেশন খরচ। Hernia surgery cost
হার্নিয়া অপারেশনের খরচ নির্ধারিত নয়। হার্নিয়া অপারেশনের খরচ রুগির ধরন, হাসপাতালের অবস্থান, সার্জনের অভিজ্ঞতার উপর বিবেচনা করে অপারেশনের খরচ নির্ধারিত হয়। ঢাকাতে প্রাইভেট হাসপাতালে হার্নিয়া অপারেশন খরচ ৩০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনুমানিক ৩ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে হার্নিয়া অপারেশন হয়ে থাকে। ঢাকার বাহিরে জেলা ও উপজেলায় ব্যক্তিগত হাসপাতালগুলোতে, হার্নিয়া অপারেশন আনুমানিক ১২ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে করা যায়।
হার্নিয়া অপারেশনের পর রোগীর জন্য দিক-নির্দেশনা গুলো কি কি?
হার্নিয়া অপারেশনের পর রোগীর জন্য নিম্নোক্ত কিছু করণীয় কাজ হলো।
▶ আপনার ডাক্তার দ্বারা নির্দেশিত প্রেসক্রিপশন এবং ঔষধ নিন। অপারেটিভ পরবর্তী প্রেসক্রিপশন বিশেষ রোগীদের জন্য তৈরি করা যেতে পারে, যার মধ্যে শারীরিক অসুবিধার প্রতিক্রিয়া এবং অপারেটিভ পরবর্তী সংক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন এবং যতক্ষণ বিশেষভাবে প্রয়োজন ততক্ষণ ওষুধ ব্যবহার করুন।
▶ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও পথ্য অনুসরণ করুন। হার্নিয়া অপারেশনের কিছু সময় পরে, রোগীর সাধারণত খাবার এবং পানীয় পরিবর্তন করতে হতে পারে। চিকিৎসকের নির্দেশিত খাদ্যের ধরন অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন এবং প্রয়োজনে খাদ্যে অশুদ্ধ ও বিষাক্ত খাবার যোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
▶ হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের পরে আপনার ডাক্তার দ্বারা নির্দেশিত ভঙ্গি এবং শারীরিক থেরাপি অনুসরণ করুন। কিছু ক্ষেত্রে, রোগীর অপারেশনের পরে ভঙ্গি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন এবং ডাক্তার সাধারণত শারীরিক থেরাপি বা প্রাকৃতিক চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন। নির্দেশিত হিসাবে এই ডোজ এবং থেরাপি ব্যবহার করুন।
▶ নির্দিষ্ট সময়ে আপডেট দেওয়ার জন্য চিকিৎসক নিয়মিত কার্যক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের পরে নিয়মিত আপনার ডাক্তারের সাথে অনুসরণ করুন। আপনি যদি কোন অসুবিধা বা সমস্যা অনুভব করেন, অবিলম্বে ডাক্তারকে জানান এবং সঠিক পরামর্শ নিন।
হার্নিয়া প্রতিকার বা হার্নিয়া থেকে মুক্তির উপায়। Hernia cure
হার্নিয়ার মত বিব্রতকর জটিল রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, এছাড়াও মলত্যাগের সময় পেটে জোরে চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, প্রস্রাব করার সময় পেটের জোরে চাপ দিয়ে প্রসাব করা যাবে না। জোরে হাঁচি, কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর পেটে যদি কোন ধরনের সার্জারি হয়ে থাকে, বিশেষ করে মেয়েদের সন্তান জন্মের সময় যদি সিজার হয়ে থাকে, তাহলে সিজারের পর কিছুদিন পেটে বেল্ট ব্যবহার করতে হবে। বেল্ট ব্যবহারের ফলে ক্ষতস্থানে চাপ কম পড়ে। এছাড়া অস্ত্রোপাচারের পরে অন্তত মাসখানেক ভারী কিছু উত্তোলন করা যাবেনা। ইদানিং লক্ষ্য করা যায়, অনেক উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা মাত্রা অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করছেন এবং ভারোত্তোলন করেন। এ ধরণের তরুণ-তরুণীদের হার্নিয়া রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই নিজের সামর্থের অতিরিক্ত ওজন উত্তলন থেকে বিরত থাকুন।
ঢাকায় হার্নিয়া অপারেশনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নামের তালিকা ও ফোন নাম্বার।
ঢাকায় সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নামের তালিকা ও ফোন নাম্বার। Hernia surgery specialist doctor list in Bangladesh. Hernia specialist doctor in dhaka
▶ ডাঃ জাফর ইকবাল
ন্যাশনাল হার্নিয়া সেন্টার
ঢাকা, বাংলাদেশ
ফোন: +880 1714-137254
▶ ডাঃ জাহিদুর রহমান
বাংলাদেশ এন্ডোস্কপিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ঢাকা, বাংলাদেশ
ফোন: +880 2-48952926
▶ ডাঃ হাসনাত আহমেদ
আপলন হার্নিয়া সেন্টার
ঢাকা, বাংলাদেশ
ফোন: +880 1712-709520
▶ ডাঃ রুবাইয়া খানম
সোনারগাঁও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ঢাকা, বাংলাদেশ
ফোন: +880 2-7792222
▶ ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুদ
ডেল্টা মেডিকেয়ার, ঢাকা
কয়েলপাড়া রোড, ঢাকা
ফোন: 02-9134407, 01713477549
▶ ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুর রব
লাবএড হাসপাতাল, ঢাকা
কাজী নজরুল ইসলাম আভিনব সরকার সামাজিক আড্ডা কেন্দ্র,
আব্দুল হামিদ রোড, ঢাকা
ফোন: 01789-083800
▶ ডাঃ আবদুল মোতিন
অ্যাডভান্সড হার্নিয়া সেন্টার, ঢাকা
সাভার বদমহল্লা, ঢাকা
ফোন: 01817-176439
▶ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মাজহারুল হক খান
এমবিবিএস (ঢাকা), এফআরসিএস (গ্লাসগো), এফআরসিএস (এডিন) ইউকে, ফেলোশিপ (জাপান)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
চেম্বার: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড – ধানমন্ডি শাখা ঢাকা-1205, বাংলাদেশফোন: +880 9613 787801
▶ ডাঃ মোঃ আব্দুল জলিল
এমবিবিএস, এফসিপিএস
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপি সার্জন
কনসালটেন্ট, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কল্যাণপুর
১/১, মিরপুর রোড, কল্যাণপুর, ঢাকা।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট: 9010396,9005617,8035905,8091332,8091334-6
.▶ ডাঃ আরিফ উদ্দিন খান
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপি সার্জন
কনসালটেন্ট, বিএসএমএমইউ
চেম্বার: ডেল্টা হেলথ কেয়ার রামপুরা লিমিটেড
381/A পশ্চিম রামপুরা, ডিআইটি রোড 1219 ঢাকা, বাংলাদেশ
নিয়োগ: 01995-411804
▶ ডাঃ এ কে এম শামসুদ্দিনের সহকারী অধ্যাপক এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এমএস, সহকারী অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) পিত্তথলি, অ্যাপেন্ডিক্স, হার্নিয়া, পাইলস, ফিস্টুলা, টিউমার সার্জারি বিশেষজ্ঞ। ঠিকানা মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। 14/11 মিটিপ্লাজা, মিরপুর-12 (বাস স্ট্যান্ড), ঢাকা-1217, বাংলাদেশ। 01740-486123
▶ ডাঃ ফিরোজ কাদের প্রফেসর
FCPS (সার্জারি), FICS (USA)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (সার্জারি)
ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লি.
74G/ 75, ময়ূর স্কোয়ার,
ঢাকা-1215, বাংলাদেশ
হটলাইন: 09 606 111 222
Hernia surgery specialist doctor list in Bangladesh.
▶ ডাঃশুদাকর চন্দ্র বসু প্রফেসর
MBBS, MS (জেনারেল সার্জারি), FIAGES
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড
চেম্বার: SQUARE Hospitals Ltd.
18/এফ বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক,
পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা – 1205, বাংলাদেশ।
ফোন: +880-2-8159457, 8142431, 8141522, 8144400,
8142333, 01713141447, হটলাইন: 10616
▶ ডাঃ আনোয়ারুল আজিম প্রফেসর
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
প্রফেসর
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ
চেম্বার: ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার, ধানমন্ডি
বাড়ি 48, রোড 9/A, ধানমন্ডি, ঢাকা 1209
নিয়োগ: 9126625-6, 9128835-7
চেম্বারের সময়: সকাল 10.00 AM – 1.00 PM
▶ ডাঃ সৈয়দ সিরাজুল করিম প্রফেসর
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এফআইসিএস
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
চেম্বার: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড – ধানমন্ডি শাখা
বাড়ি # 16, রোড # 2, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা-1205, বাংলাদেশ
ফোন: +880 9613 787801
দেখার সময়ঃ বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা
▶ অধ্যাপক ডাঃ এম মহিবুল আজিজ
এমবিবিএস (ঢাকা), এফসিপিএস (সার্জারি), এফআরসিএস (এডিনবার্গ, গ্লাসগো)।
জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক এবং কোলোরেক্টাল সার্জন
প্রফেসর
চেম্বার: ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার, ধানমন্ডি
বাড়ি 48, রোড 9/A, ধানমন্ডি, ঢাকা 1209
নিয়োগ: 9126625-6, 9128835-7
▶ ডাঃ আবদুস সালাম আরিফ প্রফেসর
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক এবং ব্রেস্ট সার্জন
সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: আনোয়ার খান আধুনিক হাসপাতাল
বাড়ি # 17, রোড # 08, ধানমন্ডি, ঢাকা-1205
ফোন: +880 -9670295, +880 -9664956
▶ ডাঃ এম খাদেমুল ইসলাম প্রফেসর
MBBS, FCPS, Dip.Med (UK), FRCS (Glasgow), FICS, FACS,
চিফ সার্জন (ল্যাবেইড বিশেষায়িত হাসপাতাল)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
চেম্বার: ল্যাবএইড ধানমন্ডি শাখা
বাড়ি # 6, রোড # 4, ধানমন্ডি, ঢাকা – 1205
পরামর্শের সময়: 10:00 AM – 2:00 PM এবং 3:00 PM – 6:00 PM
হটলাইন: 10606
▶ অধ্যাপক ডাঃ এম.আই.এম নাসিম সোবহানী খোন্দকার
MBBS, FCPS (সার্জারি), FRCS (Edin., UK)
জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: আনোয়ার খান আধুনিক হাসপাতাল
বাড়ি # 17, রোড # 08, ধানমন্ডি, ঢাকা-1205
ফোন: +880 -9670295, +880 -9664956
▶ ডাঃ শেখ এম আবু জাফর অধ্যাপক
এমবিবিএস, এফআরসিএস
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
সমন্বয়কারী ও সিনিয়র কনসালটেন্ট
এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা
চেম্বার: এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা
প্লট # 81, ব্লক # ই, বসুধারা আর/এ, ঢাকা – 1229
ফোন: +880-2-8401661, 8845242,
সেল: +880 1841276556, হটলাইন: 10678
Hernia surgery specialist doctor list in Bangladesh. Hernia specialist doctor in dhaka
▶ ডাঃ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. জাফরুল্লাহ সিদ্দিক
এমবিবিএস, এফআরসিএস (সার্জারি)
জেনারেল এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
সাবেক অধ্যাপক, সিএমএইচ ঢাকা
চেম্বার: ইবনে সিনা স্পেশালাইজড হাসপাতাল ধানমন্ডি
বাড়ি #68, রোড #15/A, ধানমন্ডি, ঢাকা-1209
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য: 10615, +88 09610010615
▶ প্রফেসর ডাঃ. টিআইএম এ ফারুক
এমবিবিএস, এফসিপিএস
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
চেম্বার: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড – ধানমন্ডি শাখা
বাড়ি # 16, রোড # 2, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা-1205, বাংলাদেশ
ফোন: +880 9613 787801
▶ মুখলেসলুর রহমান ভূইয়া প্রফেসর ড
MBBS, Phd (সার্জারি, জাপান), M.Sc (সার্জারি, USA), FACS (USA)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা
চেম্বার: ইবনে সিনা স্পেশালাইজড হাসপাতাল ধানমন্ডি
বাড়ি #68, রোড #15/A, ধানমন্ডি, ঢাকা-1209
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য: 10615, +88 09610010615
▶ অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার ড. জেনারেল (অব.) ড. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি), এফআইসিএস (ইউএসএ)
সিনিয়র ফেলো সিঙ্গাপুর
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
প্রাক্তন চিফ সার্জন ও উপদেষ্টা, সিএমএইচ, ঢাকা
চেম্বার: ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লি.
74G/ 75, ময়ূর স্কোয়ার, ঢাকা-1215, বাংলাদেশ
হটলাইন: 09 606 111 222
▶ লেঃ কর্নেল ডঃ মুহাম্মদ আলম
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি),এফসিপিএস (ইউরোলজি), এমসিপিএস (সার্জারি),এফআরসিএস (গ্লাসগ), এমআরসিএস (গ্লাসগ), এফএমএএস (ইন্ডিয়া), ডিএমএএস (ভারত), এফএসিএস (ইউএসএ), এফআইসিএস (ইউএসএ) ইউরোলজিস্ট, জেনারেল, এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন। সার্জারি বিশেষজ্ঞ, ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিএমএইচ ঢাকা ডা. ঠিকানা মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল মিরপুর 12. 14/11, মিতি প্লাজা, মিরপুর-12, ঢাকা 1216, 01740-486123
▶ ডাঃ ইসমত জাহান লিমা সহ সহকারী অধ্যাপক এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি) গোল্ড মেডেলিস্ট এমএস (কোলোরেক্টাল সার্জারি) আমেরিকান কলেজ অফ সার্জনস শহীদ সেহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জেনারেল এবং কোলোরেক্টাল সার্জারির বিশেষজ্ঞ ড. ঠিকানা মিরপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কালশী শাখা, প্লট নং- 10, রোড- 4/5, ব্লক- বি, সেকশন- 12, মিরপুর, ঢাকা- 1216, বাংলাদেশ। 01740-486123
▶ সহকারী অধ্যাপক ড. বিলকিস ফাতেমা
এমবিবিএস, এমসিপিএস (সার্জারি), এফসিপিএস (সার্জারি) এমএস (কোলোরেক্টাল সার্জারি) সহকারী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ঠিকানা ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল। 2/1 রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-1207। 01740-486123
▶ প্রফেসর ডঃ বেগম হোসনে আরা
MBBS, FCPS, MS (Obs & Gynae) অধ্যাপক ও প্রধান, Obs & Gynae বিভাগ ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ঠিকানা ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল। 2/1 রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-1207। 01740-486123
Hernia surgery specialist doctor list in Bangladesh. Hernia specialist doctor in dhaka
▶ ডাঃ অভিসাক ভট্টাচার্য
এমবিবিএস (সিএমসি), এফসিপিএস (সার্জারি), এমপিএইচ (এপিডেমিওলজি)
স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা অন ব্রেস্ট সার্জারি (এনসিআই, ব্যাংকক)
জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারি বিভাগ, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, মগবাজার
2 বড়ো মগবাজার, ঢাকা-1217, বাংলাদেশ,
ফোন: 9353391, 9353392, 9353393
▶ ডাঃ আফরিন সুলতানা
যোগ্যতা: এমবিবিএস (ডিএমসি), এমআরসিএস (ইউকে), এফসিপিএস (সার্জারি)।
বিশেষত্ব: ল্যাপারোস্কোপিক, স্তন এবং কোলোরেক্টাল সার্জন।
কনসালটেন্ট, সার্জারি বিভাগ, সিটি হাসপাতাল লিমিটেড।
সিটি হাসপাতাল লিমিটেড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
ফোন: 8143312, 8143437, 8143166, 8143167, 9124436
▶ ডাঃ মোঃ সাইদুজ্জামান জুয়েল
যোগ্যতা: এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
বিশেষত্ব: জেনারেল সার্জারি এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি
কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারি বিভাগ।
জনপ্রিয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বার: মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতাল
খলিফা ঘাট, চৌরাস্তা, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা
ফোন: 01772-114776
▶ ডাঃ আলী নাফিসা
যোগ্যতা: এমবিবিএস, এফসিপিএস, সিসিডি, এম ফিল (স্তন ক্যান্সার)
বিশেষত্ব: জেনারেল সার্জারি, স্তন ক্যান্সার এবং পাইলস বিশেষজ্ঞ।
সহকারী অধ্যাপক, স্তন সার্জারি বিভাগ
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ
ফোন: +880 -9670295, +880 -9664956
▶ ডাঃ মোঃ ওবায়দুল ইসলাম (সবুজ)
যোগ্যতা: এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (সার্জারি)
বিশেষত্ব: জেনারেল সার্জারি
কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারি বিভাগ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন
এসআইবিএল ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
ফোন: 01991-150900
▶ ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম
যোগ্যতা: এমবিবিএস, এমএস (সার্জারি)
বিশেষত্ব: জেনারেল সার্জারি
পদবী ও সংস্থা: পরামর্শক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)
চেম্বার:জামাল ক্লিনিক, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা
ফোন: 01711-624170
▶ ডাঃ মোঃ ওবায়দুল ইসলাম (সবুজ)
যোগ্যতা: এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (সার্জারি)
বিশেষত্ব: জেনারেল সার্জারি
কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারি বিভাগ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন
এসআইবিএল ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
ফোন: 01991-150900
▶ ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম
যোগ্যতা: এমবিবিএস, এমএস (সার্জারি)
বিশেষত্ব: জেনারেল সার্জারি
পদবী ও সংস্থা: পরামর্শক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)
চেম্বার:জামাল ক্লিনিক, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা
ফোন: 01711-624170
▶ ডাঃ মোসাম্মৎ মীরা পারভিন
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
জেনারেল সার্জারি, ল্যাপারোস্কোপিক, কোলোরেক্টাল এবং ব্রেস্ট সার্জারি বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন
কনসালটেন্ট, ডিপার্টমেন্ট জেনারেল সার্জারি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বার:
ইনসাফ বারাকা কিডনি ও জেনারেল হাসপাতাল
মগবাজার, ঢাকা-1217 হটলাইন: 01716306631
Hernia surgery specialist doctor list in Bangladesh. Hernia specialist doctor in dhaka
▶ ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কল্লোল
যোগ্যতা: এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (সার্জারি)
ক্লিনিক্যাল ফেলো সার্জিক্যাল অনকোলজি (সিঙ্গাপুর)
কোলোরেক্টাল সার্জারিতে উন্নত প্রশিক্ষণ (সিঙ্গাপুর)।
বিশেষত্ব: কোলোরেক্টাল সার্জারি, স্তন সার্জারি, সার্জিক্যাল অনকোলজি
চেম্বার: প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লি.
বনানী, ঢাকাযোগাযোগ: 01713-333233
তথ্যসূত্র
.