ইউনিক আইডি, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল দেশ বাস্তবায়নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য এই ইউনিক আইডি। ইউনিক আইডি কি? ইউনিক আইডি মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী কি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন? ইউনিক আইডি তৈরি করার নিয়ম এবং শিক্ষার্থীর তথ্য ছক বা স্টুডেন্ট প্রফাইল ফর্ম কিভাবে পূরণ করে সার্ভারে আপলোড করতে হবে এই নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
শুরুতেই জেনে নেই ইউনিক আইডি কি?
ইউনিক আইডি কার্ড হলো একটি ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড, যার ভিতর একজন শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকব। এটাকে বলা হয় ইউনিক আইডি কার্ড।
শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি কার্ড এর সুবিধা কি?
এই ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আলাদা আলাদা ভাবে একটি ইউনিক রোল নাম্বার দেওয়া হবে।যা অন্য কোন শিক্ষার্থীদের সাথে মিলবে না। একজন শিক্ষার্থী এই রোল নাম্বারটি তার শিক্ষা জীবনের সকল ক্লাসে ব্যবহার করতে পারবেন।অর্থাৎ বর্তমান প্রচলিত নিয়মের মতো নতুন ক্লাসে শিক্ষার্থীকে নতুন নাম্বার দেওয়া হবে না। এই একটি ইউনিক রোল নাম্বার শিক্ষার্থী প্রত্যেক ক্লাসে ব্যবহার করতে পারবেন।
ইউনিক আইডি তৈরির নিয়ম এবং এর ভবিষ্যৎ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রী এই ইউনিক আইডি পাবে। এই আইডির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সরকারের ডিজিটাল ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে।এই ইউনিক আইডি কার্ডই পরবর্তীতে নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধনের কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ইউনিক আইডি কার্ড প্রদানের কাজ শুরু হয়েছ।
ইউনিক আইডি তথা শিক্ষার্থী তথ্যছক বা স্টুডেন্ট প্রোফাইল এর কাজ অনলাইন এবং ম্যানুয়াল পদ্ধতি দুইভাবেই সম্পন্ন করা হবে। প্রথমে শিক্ষার্থীকে সরাসরি চার পৃষ্ঠার ফরম পূরণ করে নিজ নিজ স্কুলে জমা দিতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ফর্ম গুলো থেকে তথ্য নিয়ে অনলাইনে শিক্ষার্থী তথ্য ছক পূরণ করবে।
অনলাইনে ইউনিক আইডি ফর্ম বা স্টুডেন্ট প্রোফাইল ফরম ডাউনলোড করার নিয়ম।
ইউনিক আইডি ফরম ডাউনলোড করার জন্য আপনার কম্পিউটার থেকে বাংলাদেশ শিক্ষাথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর এই http://www.banbeis.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েব সাইটে ব্রাউজ করার পরে নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস আপনাদের সামনে আসবে।
মেনুবারে IEIMS বাটনে মাউস ধরার পরে ড্রপডাউনে “শিক্ষার্থী তথ্য ছক” নামে একটি অপশন আসবে সেটাতে ক্লিক করতে হবে।
শিক্ষার্থী তথ্য ছক বাটনে ক্লিক করার পরে একটি পিডিএফ ফাইল ওপেন হব। পিডিএফ ফাইলে শিক্ষার্থীর তথ্য ছক এর চারটি ফর্ম আছে। পিডিএফ ফাইলের উপরে ডানপাশের প্রিন্ট বাটন থেকে ক্লিক করে, আপনি চাইলে ফর্ম গুলো সরাসরি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন অথবা ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পারবেন।
ইউনিক আইডি ফর্ম বা শিক্ষার্থীর তথ্য ছক পূরণ করার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন।
১। শিক্ষার্থীর সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবিতে শিক্ষার্থীর দুই কান ও দুই চোখ স্পষ্ট দেখা যেতে হবে। এছাড়া ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে।
২। শিক্ষার্থীর পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৩। শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি। জন্মনিবন্ধন অবশ্যই অনলাইন করা থাকতে হবে। হাতে লেখা জন্মসনদ গ্রহণযোগ্য হবে না।
৪। পিতা-মাতা মৃত হলে বর্তমান অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৫। শিক্ষার্থীর পিতামাতার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
৬। পূর্বের শ্রেণির (প্রাথমিক/ইবতেদায়ী, জেএসসি/জেডিসি) পরীক্ষার মার্কশীটের ফটোকপি।
৭। রক্তের গ্রুপ সনাক্ত সংক্রান্ত মেডিকেল সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
৮। শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী হলে প্রতিবন্ধী সনদের ফটোকপি।
শিক্ষার্থীর তথ্য ছকের “ক” অংশের ফর্ম পূরণের মৌলিক ধারণা।
শিক্ষার্থী তথ্যছক ইউনিক আইডি ফর্ম এর ‘ক’ অংশে, শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধন অনুসারে তাদের মৌলিক তথ্যাদি যেমন- নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, জন্ম স্থান, ধর্ম এবং অন্যান্য তথ্যসমূহ সঠিকভাবে পূরণ করবে। ফরমের ১৫ ও ১৬ নং অংশে শিক্ষার্থীদের পিতা- মাতার সমস্ত তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করতে হবে। পিতা-মাতার নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে, জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, জন্ম তারিখ, জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার, মোবাইল নাম্বার ও পেশা সঠিকভাবে লিখতে হবে।
দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যথাযথভাবে পূরণ করবে। এক্ষেত্রে বিভাগ, জেলা, উপজেলা/থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, গ্রাম/মহল্লা, ডাকঘর ইত্যাদি সকল তথ্য দিতে হবে। স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রে দেয়া স্থায়ী ঠিকানা অনুসারে লিখতে হবে। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এক হলে স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করতে হবে না।
শিক্ষার্থীর তথ্য ছকের “খ” অংশের ফর্ম পূরণের মৌলিক ধারণা।
শিক্ষার্থী তথ্যছকের ‘খ’ অংশে শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যয়ন সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করবে। এই অংশে শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, বর্তমান শ্রেণী, রোল, পূর্ববর্তী শ্রেণী পরীক্ষার ফলাফল, উপস্থিতির তথ্য, কো-কারিকুলাম কার্যক্রমসহ অন্যান্য সকল তথ্য সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে।
শিক্ষকগণ অনলাইন সার্ভারে শিক্ষার্থীদের তথ্য যেভাবে আপলোড করবেন।
শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি ফর্ম বা শিক্ষার্থীর তথ্য ছক ফরম পূরণ করার পর, পূর্ণাঙ্গ এবং অনলাইন সার্ভারে আপলোড দেওয়ার কাজটি শিক্ষকগণ করবেন। শিক্ষকগণ সার্ভারে অনলাইন তথ্য ছক ফর্ম পূরণের কাজটি ১০ টি ধাপে সম্পন্ন করবেন। নিচে ছবি সহ প্রতিটি ধাপ কিভাবে সম্পন্ন করবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ডোপ টেস্ট কি এবং কাদের ডোপ টেস্ট করতে হবে?শিক্ষাথীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক?
বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মত বাংলাদেশ সরকারও বেশ কিছুদিন ধরে বেশকিছু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপর, ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে। ডোপ টেস্ট এর ফলে মাদকাসক্তি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
১। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পূরণকৃত ফর্ম এর তথ্য আপলোডের প্রস্তুতি।
দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষকগণ অনলাইনে শিক্ষার্থী তথ্যছক পূরণ করবে। এজন্য প্রথমেই হাতে পূরণকৃত শিক্ষার্থী তথ্যছকগুলো নিয়ে প্রত্যেক ক্লাসের জন্য একটি করে বান্ডেল তৈরি করতে হবে এবং ফর্মগুলোতে সিরিয়াল নাম্বার দিতে হবে।
২। কম্পিউটারে ক্লাস অনুযায়ী ফোল্ডার তৈরী এবং ছবি সংগ্রহ।
কম্পিউটারে প্রতিষ্ঠানের EIIN দিয়ে একটি ফোল্ডার তৈরি করতে হবে। EIIN ফোল্ডার এর ভিতরে প্রতিটি ক্লাসের জন্য পৃথক পৃথক ফোল্ডার তৈরি করতে হবে। যে কোনো একটি ক্লাসের বান্ডেল নিয়ে ফর্মের উল্লেখিত সিরিয়াল নাম্বার অনুযায়ী ছবির নাম দিতে হবে। স্ক্যান করা ছবিটি ক্লাস ফোল্ডারের ভিতর সংরক্ষণ করতে হবে। ডেটা এন্ট্রি করার সময় ফর্মের সিরিয়াল নাম্বার অনুযায়ী ছবি সিলেক্ট করে আপলোড করা ছবির সাথে হাতে পূরণকৃত ফর্মের ছবি দেখে মিলিয়ে নিতে হবে।
৩। ওয়েবসাইট থেকে ইউনিক আইডি লাইভ সার্ভারে প্রবেশ।
এরপর কম্পিউটারে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর এই http://www.banbeis.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার পরে নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস আপনাদের সামনে আসবে। ওয়েবসাইটের মেনুবারের IEIMS উপর মাউস ধরার পরে ড্রপডাউনে ইউনিক আইডি লাইভ সার্ভার নামে একটি অপশন আছে এটাতে ক্লিক করতে হবে।
৪। ইউনিক আইডি লাইভ সার্ভারে লগইন।
ইউনিক আইডি লাইভ সার্ভার লেখার উপর ক্লিক করার পরে, স্ক্রীনে CRVS:: INSTITUTE LOGIN এরকম একটি কগইন পেইজ আসবে। ডেটা এন্ট্রির কাজে নিয়োজিত শিক্ষকগণ লগইন পেইজ এ প্রদর্শিত User Type বক্সে Admin সিলেক্ট করবেন। এরপর বক্সে প্রতিষ্ঠানের EIIN এবং Password লিখে Login এ ক্লিক করতে হবে।
৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম যাচাই এবং তথ্যছক এ প্রবেশ।
লগ ইন সম্পন্ন হওয়ার পর স্কিনে যে ছবিটি আসবে, তার উপরে ডানপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা থাকবে। যদি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে নামটি সঠিকভাবে মিলে যায় তাহলে লগ ইন সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ছক বের করার জন্য প্রথমেই উপরে বাম পাশে student >> student enrollment form নামে যে বক্সটি আছে এটাতে ক্লিক করতে হবে।
৬। ইউনিক আইডি তথ্য ছকে শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি শুরু।
Student Enrollment Form এ ক্লিক করার পর একটি পেইজ ফর্ম ওপেন হবে। এখানে প্রদর্শিত ফর্মে শিক্ষার্থীর ডেটা এন্ট্রি করতে হবে। শুরুতেই শিক্ষার্থীর নাম বাংলা ও ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী লিখতে হবে। শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ এন্ট্রি করতে হবে। তথ্যসমূহ এন্ট্রি দিলে শিক্ষার্থীর নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে এবং জেন্ডার, জাতীয়তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট স্থানে পূরণ হবে। এভাবে বাকি তথ্যগুলো নির্দিষ্ট বক্সে পূরণ করতে হবে।
৭। শিক্ষার্থীর ছবি আপলোড ও মাতার এনআইডি নাম্বার যাচাই
ছবি আপলোড করার জন্য Choose Image বাটনে ক্লিক করার পর, কম্পিউটারে পূর্বে সংরক্ষিত শিক্ষার্থীর ক্লাস অনুযায়ী ফোল্ডার ওপেন করে ফর্মে উল্লেখিত সিরিয়াল নাম্বার অনুযায়ী ছবি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর মাতার এনআইডি নির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে। মাতার এনআইডি এবং জন্ম তারিখ এন্ট্রি করার পর, তা সার্ভার থেকে যাচাই হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনপুট বক্সে চলে আসবে। প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে পেইজ-০১ এ ফর্মের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর Save and Next বাটনে ক্লিক করতে হবে। সফলভাবে তথ্য সংরক্ষণ হওয়ার পরে নোটিফিকেশন মেসেজ আসবে এবং পরবর্তী ধাপ পেইজ-০২ প্রদর্শিত হবে।
৮। শিক্ষার্থীর পিতার এনআইডি কার্ড ও ঠিকানা ইনপুট
এ পিতার এনআইডি নির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে। পিতা ও এনআইডি এবং জন্ম তারিখ এন্ট্রি করার পর, তা সার্ভার থেকে যাচাই হয়ে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ইনপুট বক্সে পিতার নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে চলে আসবে। এরপর এনআইডি থেকে আসা ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য, স্থায়ী ঠিকানা ব্লক-এর ইনপুট বক্সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। নির্দেশনা অনুযায়ী পেইজ-০২ এ ফর্মের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে Save and Next বাটনে ক্লিক করতে হবে। সফলভাবে তথ্য সংরক্ষিত হওয়ার পর পরবর্তী ধাপ পেইজ-০৩ দেখা যাবে।
৯। শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার যাচাই
পেইজ-০১ ও পেইজ-০২ সফলভাবে পূরণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার যাচাই ও প্রদানের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ও আরজি সার্ভারে যাবে। সঠিকভাবে যাচাইয়ের পর ও আরজি ইউ আইডি রিটার্ন করবে, যা ডেটা বেইজ এ সংরক্ষণ করা হবে এবং ব্যবহারকারীর কাছে প্রদর্শিত হবে।
১০। শিক্ষার্থীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ইনপুট
তথ্যছকের অংশ ‘খ’ এর ১ এবং ২ নং ক্রমিকের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হবে। পূর্ববর্তী শ্রেণির ফলাফল এন্ট্রির সময় পিএসসি/সমমান পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ইনপুট বক্সে এন্ট্রি করতে হবে। অন্যান্য সকল পরীক্ষার ক্ষেত্রে, EIIN ইনপুট করার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসবে। প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে পেইজ-০৩ ও পেইজ-০৪ এ ফর্মের সমস্ত তথ্য পূরণ করে Submit বাটনে ক্লিক করতে হবে। সফলভাবে তথ্য সংরক্ষণ হবার পর নিচে Student information has been saved successfully পেইজ আসবে
ইউনিক আইডি শিক্ষার্থী তথ্য ছক ও স্টুডেন্ট প্রোফাইল সংক্রান্ত সাধারণ কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর।
১। ইউনিক আইডি কার্ড করার জন্য কি জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন?
ইউনিক আইডি ফরমের সাথে অবশ্যই শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে হবে। এই জন্য নিবন্ধন সনদ ভারশাই অনলাইন কপি হতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করা না থাকলে নির্দিষ্ট কার্যালয় থেকে অতি দ্রুত তা সংশোধন করে নিতে হবে।
২। পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড নাম্বার ছাড়া ইউনিক আইডি করা যাবে?
সরকারি নোর্টিশ ডানুযায়ী পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ছাড়া ইউনিক আইডি করা যাবেনা।
৩। ইউনিক আইডি কার্ড করা কি বাধ্যতামূলক?
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করে তার নিজ নিজ স্কুলে জমা দিতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক।
৪। এনআইডি কার্ড ও ইউনিক আইডি কি একই?
না, ইউনিক আইডি ও এনভাইডি দুটোই সম্পূর্ণ আলাদা। ইউনিক আইডি শুধুমাত্র প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পারে।
৫। ইউনিক আইডি কার্ড দিয়ে কি সিম কেনা যাবে?
না, ইউনিক আইডি দিয়ে সিম কেনা যাবে না।
৬। ইউনিক আইডি কার্ড করা হলে শিক্ষার্থী কি স্কুল পরিবর্তন করতে পারবে?
শিক্ষার্থীর একটি নির্দিষ্ট ইউনিক নাম্বার দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি পাওয়ার পর চাইলে তারা যেকোনো সময় স্কুল পরিবর্তন করতে পারব। ইউনিক আইডি করার পর স্কুল পরিবর্তন করতে কোন বাধা নেই।