কোন রোগের জন্য কি ধরনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবেন? আমরা অসুস্থ হয়ে পড়লে বা আমাদের পরিবারের কেহ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। যদি সেটা আমরা সরকারি কোনো বড় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাই, কোন রোগের জন্য কোন চিকিৎসক বা কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার সেখানে সেটা রোগী বা রোগীর স্বজন কে নির্বাচিত করতে হয় না। সরকারি হাসপাতালে রোগীর রোগ অনুসারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন চিকিৎসা শুরু করেন, অথবা বোর্ড বসে রোগীর রোগের চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
কিন্তু যদি এটা আমরা কোন ব্যক্তিগত হাসপাতালে অথবা ডাক্তারের ব্যাক্তিগত চ্যাম্বারে চিকিৎসা নিতে যাই। সেক্ষেত্রে রোগী বা রোগীর স্বজন কেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় তিনি কোন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন। সে ক্ষেত্রে কোন রোগের জন্য কোন চিকিৎসক বা কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার এটা জানা জরুরী। যদি কোন রোগের জন্য কোন চিকিৎসক বা কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার এটা জানা না থাকে তবে বিপত্তিটা ঘটে এখানেই।
ধরুন আপনার বা আপনার রোগীর অনেকদিন যাবত ক্ষুধামন্দা, পেট ফাপা, পেটে ব্যথা, মাঝে মাঝে গায়ে জ্বর আসে। কিন্তু আপনি যে ব্যক্তিগত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন, এখানকার নামকরা একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে এই রোগের চিকিৎসার জন্য সিরিয়াল দিলেন। কিন্তু আপনার যে সমস্যা এই সমস্যার জন্য প্রয়োজন ছিল একজন গ্যাস্ট্রোলজি বা হেপাটোলজিস্ট ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। কিন্তু আপনি গিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে! এতে করে আপনার সুচিকিৎসা নাও হতে পারে!
তাই ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা নেওয়ার পূর্বে রোগের উপসর্গগুলো অনুযায়ী কোন রোগের জন্য কোন চিকিৎসক বা কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে তা জানা থাকলে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব, রোগ এবং রোগের উপসর্গ অনুযায়ী কোন রোগের জন্য কোন চিকিৎসক বা কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কি এই বিষয়গুলো নিয়ে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলতে কি বুঝায়?
এমবিবিএস পাশ করার পর একজন ডাক্তার মেডিকেল জ্ঞানের পাশাপাশি কোন রোগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করলে তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কি? মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কখন দেখাবেন?
যে সকল রোগের চিকিৎসা শুধু মেডিসিন দ্বারাই সম্ভব হয় এবং রোগীর জন্য কোন ধরনের অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। এই সকল রোগের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। তবে রোগের তীব্রতার উপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন। একই রোগের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন এবং সার্জন দু’ধরনের ডাক্তারি আছে, শুধুমাত্র প্রয়োজন বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
ধরুন, আপনি নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যদি দেখাবেন, এখানে নাক কান গলার সার্জন ও আছে আবার মেডিসিনও পাবেন। আপনাকে শুধু জানতে হবে, রোগীকে ঔষধ খাওয়ালেই হবে, নাকি অপারেশন করতে হবে! যদি অপারেশন লাগে, তবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জনের কাছে যেতে হবে। যদি মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে যান, তাহলে সময় এবং টাকা দুটোই অপচয় হতে পারে। কিন্তু, আপনিতো ডাক্তার না! কিভাবে জানবেন আপনার অপারেশনের প্রয়োজন নাকি ঔষধেই কাজ হবে!
আর এজন্য আপনার এলাকার বিশ্বস্থ এবং অভিজ্ঞ একজন পল্লী চিকিৎসকের সহায়তা নিতে পারেন।
এছাড়াও –
◾উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ।
◾বুক বড়ফড় করা
◾পেটে সমস্যা
◾রক্তে অতিরিক্ত চর্বি
◾অকারণে দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব ও বমি হওয়া।
◾ঘন ঘন জ্বর আসা/কাঁপুনী দিয়ে জ্বর আসা।
◾প্রেসার ওঠানামা।
আরো কিছু বিষয় আছে যা আপনাকে বুঝতে সহযোগিতা করবে। ধরুন আপনার কোথাও একটা ফোড়া হল, অনেক ঔষধ খেলেন কিন্তু কিছুতেই ব্যথা কমছে না। এখন আপনি কি করবেন? এক্ষেত্রে, আপনার উচিৎ একজন প্রফেসার লেভেলের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো। এটা আপনার কাছে ছোট হলেও আসলে বিষয়টা ছোট নয়। তাই কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার এসব বিষয় জানা থাকলে সময়মত সঠিক সুচিকিৎসা পাওয়া যায়।
যৌবন ধরে রাখার উপায় ১০টি খাবার খেয়ে তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখুন।
যৌবন ধরে রাখার উপায় আমরা নিজেকে সর্বদা সুস্থ সবল রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। আমরা সবাই চাই আজীবন যৌবন ধরে রাখতে চেহারার ভিতরে তারুণ্য ধরে রাখতে। তাই সুস্থ থাকতে এবং তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে। আপনার হাতের কাছেই এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে আপনার যৌবন থাকবে অটুট। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারের মাধ্যমে আজীবন যৌবন ধরে রাখা যায়।
নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাজ কি?
নিউরোলজিস্ট বা নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কি? কোন রোগের জন্য এই ডাক্তার দেখাতে হবে?
শরীরের বিভিন্ন স্থানে রগের অনেক সমস্যার জন্য এই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। চিকিৎসার ভাষায় এটাকে বলে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যে সকল সমস্যার জন্য নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবেন।
যেমন-
◾স্ট্রোক
◾মাথা ব্যাথা ও মাথা ঘোরানো
◾মাইগ্রেইন/সাইনোসাইটিস
◾মুখ বেঁকে যাওয়া
◾মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ
◾মাথায় অস্বস্থি
◾হাত-পা ঝিন ঝিন করা ও অবশতা
◾হাত-পা কাঁপা
◾ঘাড়, কোমর ও মেরুদণ্ডের ব্যাখা
◾হাত ও পায়ের শক্তি কমে যাওয়া
◾খিচুনি/ মৃগী রোগ
◾টেনশন/ অনিদ্রা
◾স্নায় ও শিরা বা রগজনীত সমস্যা
◾হাত ও পা এর মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া
◾প্যারালাইসিস
◾আঙ্গুল বাঁকা হয়ে আসা
ইত্যাদি সমস্যার জন্য এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
রোগ অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রকারভেদ
চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ
চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ (ডার্মাটোলজিস্ট) ডাক্তার কি? কোন রোগের জন্য ও শরীরে কি কি উপসর্গ দেখা দিল, এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে?
চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ (ডার্মাটোলজিস্ট) বলতে আমরা যা বুজে থাকি আসলে ঠিক তা নয়। এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় যৌন দুর্বলতা বলতে কিছু নেই। এখানে যৌনবাহিত রোগকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। যেমন, সিফিলিস,গনোরিয়া, ইত্যাদি রোগসমুহের চিকিৎসক কে যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলা হয়ে থাকে।
যে সকল রোগের জন্য এ ডাক্তার দেখাবেন।
যেমন –
◾চুলকানি, দাদ, অ্যাক্সিমা, ত্বকে ক্ষত, সিরিয়াসিস।
◾ব্রন, মেসতা সহ ত্বকের কালো দাগ
◾সকল ধরনের অ্যালার্জি সমস্যা
◾নখ ও চুলের সমস্যা
◾ত্বকের পুড়া বা ক্ষত দাগ
◾পুরুষ ও মহিলাদের যৌনাঙ্গে ব্যাথা ও জ্বালা যন্ত্রণা।
◾পুরুষ ও মহিলাদের ধাতু ক্ষয়
◾মহিলাদের ত্বকে অস্বাভাবিক ছাপ (যেমনঃ মুখে অবাঞ্ছিত লোম, দাগ)।
এই সমস্যাগুলো ছাড়াও আপনার যদি চামড়ায় আরো কোন রোগ হয় অথবা যৌনাঙ্গে কোন রোগ হয়, তাহলে অবশ্যই চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবেন।
সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, কখন সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হব?
যিনি অপারেশন করেন, অস্ত্রোপাচার করার মাধ্যমে চিকিৎসা সম্পন্ন করেন, তাকে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলা হয়। যেসব রোগের চিকিৎসায়, ঔষধ, ইনজেকশন দ্বারা সম্ভব হয় না। অপারেশন করার প্রয়োজন হয়, তখনই সার্জারি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়।
যেমন –
◾পিত্তথলির অপারেশন
◾এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন
◾পাইলস ও ফিস্টুলা অপারেশন
◾সিজারিয়ান অপারেশন
◾অণ্ডকোষ একশিরা অপারেশন
◾শরীরের অন্তরভাগ ও বহির্ভাগ টিউমার
◾হাত,পা ও মলদ্বারের জটিল অপারেশন
◾কিডনিতে পাথর
◾জরায়ুতে টিউমার সহ ইত্যাদি অপারেশন করার প্রয়োজন। এমন সকল সমস্যার জন্য সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হয়।
কার্ডিওলজি বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
কার্ডিওলজি বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কখন কার্ডিওলজি বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হব?
হার্ট বা হৃদপিন্ডের যেকোন সমস্যার জন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বা কার্ডিওলজি ডাক্তার দেখাতে হবে। এছাড়া আরো কিছু উপসর্গ দেখা দিল আপনাকে দ্রুত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
যেমন –
◾হার্ট এ্যাটাক হার্টবুক, বুকে ব্যাথা
◾উচ্চ রক্ত চাপ (হাইপারটেনশন)
◾হাটাতে হাপিয়ে যাওয়া/হার্ট ফেইলিওর
◾অ্যাঞ্জিওগ্রাম, রিংপ্রেসমেকার ও বাইপাস রোগীর পরামর্শ
◾জন্মগত হৃদরোগ
◾হাঁটতে যেয়ে মাথা ঘুরে পরে যাওয়া
◾ শ্বাস কষ্টে রাতে ঘুমাতে না পারা
◾ বুক ধড়ফড় করা (প্যালপিটিশন)
◾বাতজ্বর ও বাতজ্বর জনিত হৃদরোগ
◾বুকের বামপাশে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হওয়া,
◾শ্বাসকষ্ট হওয়া
◾পাকস্থলীর উপরের দিকে অসহনীয় ব্যথা
◾মাথা হালকা লাগা
◾শরীরের উপরের অংশে যেমন-পিঠ, পেট, গলা, বাম বাহুতে ব্যথা, ঘারে ব্যথা, বা অস্বস্তি হতে পারে। এসকল উপসর্গ দেখা দিলেও আপনাকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হব। এসকল সমস্যার জন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে না গিয়ে, অন্য কোন ডাক্তার দেখালে আপনার সময় এবং টাকা দুটোই নষ্ট হতে পারে। তাই, কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার এটা জেনে সঠিকভাবে ডাক্তারের কাছে গেলে সুচিকিৎসা পাওয়া সম্ভব।
গাইনিকোলজিস্ট বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ
গাইনিকোলজিস্ট বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা কি? কি সমস্যা হলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বা গাইনিকোলজিস্ট ডাক্তারের কাছে যেতে হব?
মেয়েদের সকল প্রকার মেয়েলি রোগের জন্য এ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
যেমন –
◾অনিয়মিত ঋতুস্রাব
◾জরায়ু সমস্যা ও জরায়ু টিউমার
◾স্তন সমস্যা ও টিউমার
◾বন্ধ্যাত্ব ও বাচ্চা ধারনে অক্ষম
◾গর্ভবতী অবস্থায় সেবা ও ডেলিভারি
◾মেয়েদের সকল ধরনের গোপন ও জটিল রোগ এর জন্য এ ডাক্তার দেখাতে হবে।
গ্যাস্ট্রোলজি, হেপাটোলজি বা লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
গ্যাস্ট্রোলজি, হেপাটোলজি বা লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যে সকল রোগের জন্য এই ডাক্তার দেখাবেন।
◾জন্ডিস/ লিভার জন্ডিস
◾এন্ট্রাল গ্যাসটাইটিস
◾পেট ফাঁপা/গ্যাসের সমস্যা/ অতিরিক্ত এসিডিটি।
◾হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস।
◾লিভার সিরোসিস/ প্যানক্রিয়াটাইটিস।
◾খাদ্যনালী/ পাকস্থলীতে ক্ষত বা ঘা।
◾ক্ষুধামন্দা/ বমিবমি ভাব হওয়া/ খাবারের অরুচি।
◾ লিভারে চর্বি ও পেটের সকল ধরনের পীড়া রোগ।
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ (ইএনটি স্পেশালিস্ট) ডাক্তার। কোন রোগের জন্য এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন।
◾গলায় ও মুখে ঘা
◾কানে কম শোনা
◾কান দিয়ে পানি পড়া
◾নাকের পলিপাস
◾নাকের হাড় বাঁকা
◾নাক-কান-গলার সবধরনের সার্জারি
◾নাকের মাংস বৃদ্ধি হওয়া
◾কানের পর্দা ফেটে যাওয়া পর্দা সংযোজন।
◾কন্ঠস্বর ভাঙ্গা।
অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ
অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ। কোন রোগের জন্য এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিবেন।
◾হাড় ভাঙ্গা, হাড় জোড়া, হাড় ক্ষয়।
◾মেরুদন্ড ও হাড় এর সকল চিকিৎসা।
◾হাঁটুতে ব্যথা
◾হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা
◾পঙ্গুত্ব বাত ব্যাথা সহ শরীরের হাড়ের সব ধরনের চিকিৎসার জন্য এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কোন রোগের জন্য এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন?
◾এ্যাজমা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট
◾শ্বাসকষ্টজনিত বুকে ব্যথা
◾নিউমোনিয়া ও দীর্ঘদিন যাবত কাশি।
◾ফুসফুসে পানি জমা।
ফুসফুসের সকল ধরনের রোগের জন্য এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেওয়া যায়।
ইউরোলজি ও কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কোন রোগের জন্য এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন।
একজন ইউরোলজি ও কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মানুষের মূত্র সংবহনতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে থাকেন।
যেমন
◾মূত্রনালীর সংক্রামন
◾প্রস্রাবে ইনফেকশন
◾মূত্রাশয় অকেজো হয়ে যাওয়া।
◾মূত্রথলি বা কিডনিতে পাথর।
◾মূত্রথলি বড় হয়ে যাওয়।
◾মূত্রনালী ও মূত্রথলিতে প্রদাহ।
◾প্রস্রাবে জ্বালাপোড়।
◾প্রোস্টাটাইটিস।
এ সকল রোগের জন্য ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেওয়া যায।
কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন? আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং ডাক্তারদের কাছে কি কি উপসর্গ হলে চিকিৎসা নেবেন,সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। সচরাচর আমরা যে ধরনের রোগ এবং রোগের উপসর্গ নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই, আমরা সে রোগের উপসর্গ এবং সে রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করি আপনারা কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন সে বিষয়ে অনেকটাই ধারণা পেয়েছেন।
এছাড়াও অনেক বিশেষজ্ঞ এবং অনেক রোগের উপসর্গ আছে যা আমরা এখানে আলোচনায় আনতে পারিনি। এর বাহিরে যদি কোন উপসর্গ দেখা দেয় এ ধরনের রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন ডাক্তার দেখানোর পূর্বে, আপনার পরিচিত অভিজ্ঞ কোনো পল্লী চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে, পরামর্শ করে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন সেটা জেনে ডাক্তার দেখালে সুচিকিৎসা পাবেন। মনে রাখবে, কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন, সেটা সঠিকভাবে না জেনে ডাক্তার দেখালে, সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি টাকা এবং সময় দুটোই নষ্ট হয়।